সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমেছে। এর মধ্যে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ হলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মার্চের ভোক্তামূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির বর্তমান অবস্থা এটি।
গতকাল পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এ তথ্য প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের যন্ত্রণা থাকা সত্ত্বেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। পেঁয়াজের দাম বাড়লেও অন্যান্য পণ্যের দাম কমেছে। সবজি, মাছ ও ফলমূলের দাম কমেছে। অক্টোবরে পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মাছ, শাকসবজি ও ফলজাতীয় দ্রব্যাদির মূল্য সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে কমেছে। বিবিএসের হিসাবে বাজারে শিম, মুলা, কাঁচা পেঁপে, করলা, পটোল ও বরবটির দাম কমেছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছে। গত মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে মে মাসে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুধজাতীয় দ্রব্যাদি ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর দাম বেড়েছে। মাসওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলাজাতীয় দ্রব্যাদির দামও চড়া ছিল।
অক্টোবরে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, গত মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। বাড়ি ভাড়া, আসবাব, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ ও বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।
গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।