দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, শুধু চুনোপুঁটি নয়, রাঘববোয়ালদেরও ধরছি। পাশাপাশি অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে দুদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরো অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।
গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিনিধি দলকে অভিনন্দন জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গত তিন বছরে দুদকের ১৬৪ জন কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান, তদন্ত ও প্রসিকিউশনের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ সহযোগিতা বাংলাদেশের দুর্নীতি দমনে কমিশনের সক্ষমতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি একটি গভর্ন্যান্স ইস্যু। আমরা সমন্বিতভাবে সরকারি পরিষেবা ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নে চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে কমিশন বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করে চিঠি দিয়েছে। আমরা আশা করি, এমওইউ হলে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হবে।
তিনি বলেন, এফবিআইয়ের দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসে দুদকের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে দুদক হয়তো প্রশিক্ষকদের লোকাল হসপিটালিটির (আতিথেয়তা) ব্যবস্থা করতে পারে। তদন্ত ও প্রসিকিউশনে অভিজ্ঞ রিসোর্স পারসনদের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চায় কমিশন।
