শেষ সময়ে ‘কারেন্ট’ পোকা

নোয়াখালীতে ঝলসে গেছে ২৫০ হেক্টর রোপা আমন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি নোয়াখালী

 পরিপক্ব রোপা আমন ধান ঘরে তোলার বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ তবে এরই মধ্যে হঠাৎই নোয়াখালীতে ধানটির ক্ষেতে দেখা দিয়েছে বাদামি গাছফড়িং (বিপিএইচ) বা কারেন্ট পোকার আক্রমণ গত কয়েক দিনে পোকার আক্রমণে সুবর্ণচর হাতিয়ায় ঝলসে যাচ্ছে একের পর এক রোপা আমন ক্ষেত

কৃষক কৃষিভিত্তিক স্থানীয় বিভিন্ন এনজিওর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, পোকাটির আক্রমণে এখন পর্যন্ত এই দুই উপজেলায় অন্তত ২৫০ হেক্টর জমির ধান আক্রান্ত হয়েছে ঝলসে গিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েছে বহু কৃষকের ধান গাছ তাদের আশঙ্কা, দ্রুত পোকা নিধনে ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে একই সঙ্গে তারা মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়বেন

চর ওয়াপদা গ্রামের কৃষক মনির হোসেন বলেন, বছর তিনি ছয় একর জমিতে রোপা আমন আবাদ করেছেন শুরু থেকেই ধান গাছের বৃদ্ধি ভালো ছিল এখন গাছে দুধ এসেছে আর মাত্র ১৫-২০ দিন পরই ধান ঘরে তোলার কথা কিন্তু গত শনিবার ক্ষেতে গিয়ে দেখতে পান কারেন্ট পোকার আক্রমণে ক্ষেতের কিছু অংশের ধান ঝলসে গিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েছে পোকা দমনে কীটনাশক প্রয়োগ করেও ফল পাচ্ছেন না বরং গত দুই দিনে পোকার আক্রমণের তীব্রতা আরো বেড়েছে বর্তমানে তার জমির ৩০ শতাংশ ধানই ঝলসে গেছে

চরজব্বার গ্রামের কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, আট একর জমিতে ধান চাষে তার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা বর্তমানে তার দুটি জমির ধান কারেন্ট পোকার আক্রমণে পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে দিন দিন পোকা ছড়িয়ে পড়ছে অন্য জমিতেও

শুধু ওয়াপদা বা চরজব্বারে নয়, কারেন্ট পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুবর্ণচরের মোহম্মদপুর, চর জুবলি, চর আমান উল্যাহ্, চরক্লার্ক, চর আক্রাম উদ্দিন, চরবাটাসহ পুরো উপজেলার কৃষকরা একই অবস্থা হাতিয়ার চানন্দী হরণি ইউনিয়নেরও এসব এলাকার কৃষকরা আক্ষেপ করে বলেন, মুহূর্তে তারা কী করবেন বুঝতে পারছেন না বিভিন্ন কোম্পানির কথামতো কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো ফল হচ্ছে না সঠিক কোনো নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও

পোকার আক্রমণ নিয়ে স্থানীয় এনজিও সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কৃষি কর্মকর্তা শিবব্রত ভৌমিক বলেন, বিপিএইচ বা কারেন্ট পোকার আক্রমণের মূল কারণ উর্বর জমিতে একাধিকবার ইউরিয়া সার ব্যবহার বৃষ্টির পানি জমে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন