১৯৭৫ সালে ১৭৭ শতক জমির ওপর নির্মিত হয় চুয়াডাঙ্গা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। জেলায় যক্ষ্মা নির্মূলের ক্ষেত্রে ক্লিনিকটি ভূমিকা রাখলেও কনসালট্যান্ট না থাকায় এ কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এ অবস্থায় যক্ষ্মা আক্রান্তদের এক্স-রে ও কফ পরীক্ষাসহ মাঠপর্যায়ে রোগটি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।
চুয়াডাঙ্গা বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান বলেন, এ ক্লিনিকে একজন মেডিকেল অফিসার রয়েছেন। কিন্তু আড়াই বছর থেকে কোনো কনসালট্যান্ট না থাকায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ২০১১ সাল থেকে নষ্ট হয়ে আছে এক্স-রে মেশিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনেকবার লেখালেখি করেও এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তবে বর্তমানে ব্র্যাকের সহযোগিতায় রোগীদের এক্স-রে সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ক্লিনিকটিতে একজন করে অফিস সহকারী ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, চারজন অফিস সহায়ক, দুজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী (যার একজন সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন) এবং একজন রেডিওগ্রাফার আছেন। তবে কয়েক বছর ধরেই একজন করে ফার্মাসিস্ট, সহকারী নার্স, গাড়িচালক ও দুজন লেডি হোম ভিজিটরের পদ শূন্য রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ব্র্যাকের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যক্ষ্মা নির্মূলের ক্ষেত্রে এ জেলায় ব্র্যাক মাঠপর্যায়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের এক্স-রে মেশিন খারাপ থাকায় সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিনা মূল্যে এক্স-রে সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এক্স-রে করার পর তা ঢাকায় পাঠিয়ে রেডিওলজিস্টকে দেখিয়ে রিপোর্ট আনা হয়। এছাড়া এখানে জিন এক্সপার্ট পরীক্ষাও করা হয়।
জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, যক্ষ্মা পরীক্ষার জন্য প্রতিদিন তাদের কাছে ২০-২৫ জন নারী-পুরুষ আসেন। প্রতি মাসেই ২০-২৫ জনের দেহে যক্ষ্মার জীবাণু পাওয়া যায়। চিকিৎসা চলাকালীন তাদের বাড়িতে গিয়ে কর্মীদের মাধ্যমে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। প্রতি পাঁচ হাজার রোগীর জন্য একজন করে সেবিকা রয়েছেন। রোগী নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছে কিনা তা তদারকি করেন তারা।
তার দেয়া তথ্যমতে, ২০০৪ সাল থেকে চুয়াডাঙ্গায় সরকারের সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে ব্র্যাক। শুরু থেকে এ পর্যন্ত এ জেলায় কফ পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৩ জনের। এ পর্যন্ত কফ পরীক্ষায় ১৪ হাজার ৯৮ জন, এক্স-রে ও অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে ফুসফুসে আক্রান্ত ১ হাজার ৪৮৯ জন এবং অন্যান্য প্রত্যঙ্গে আক্রান্ত ১ হাজার ৯৬৪ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া