চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ দানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে দ্বিতীয় দিনের মতো এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে ৩২৬ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির আবেদন জমা দেয় প্রতিনিধি দল।
এর আগে গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপিটি ভর্তি কমিটিকে পাঠানো হলে শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম ও মানোন্নয়নের পর প্রাপ্ত দুটি মার্কশিট, ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রসহ লিখিত আবেদন দিতে বলা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা বিকাল ৪টার দিকে কর্মসূচি স্থগিত করেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল সকাল ১০টা থেকে শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান নিয়ে লিখিত আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধি দলকে অনলাইনে কাগজপত্র পাঠান। এসব কাগজপত্র সংযুক্ত করে মোট ৩২৬টি আবেদন প্রক্টর অফিসে জমা দেয় প্রতিনিধি দল।
এদিকে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার রাজধানী ঢাকায় একটি কনফারেন্সে থাকায় সভা অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব এসএম আকবর হোছাইন। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘তিনি আজ (গতকাল) বিকালে এলে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। উপাচার্য ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাই আগামীকাল (আজ) বেলা ২টায় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায়ই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
ভর্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মিকাঈল আহমেদ ফয়সাল বলেন, ‘আমরা ৩২৬ জনের আবেদন প্রক্টর অফিসে জমা দিয়েছি। আরো কিছু আবেদন জমা দেয়া বাকি। তা আগামীকাল দিতে বলেছেন প্রক্টর স্যার। আমাদের বলা হয়েছে, কিন্তু সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। আমরা সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কাছে ৩২৬টি আবেদন জমা পড়েছে। আরো কিছু শিক্ষার্থীর আবেদন বাকি থাকায় আজ সকালে জমা দিতে বলেছি। আবেদনপত্রগুলো আজ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেব। ওই কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে।’