দুঃসময়ে পাওয়া একটি জয় প্রশান্তির হাওয়া নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ দলে। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দলীয় পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে পাওয়া জয়টি বদলে দিয়েছে ড্রেসিংরুমের পরিবেশও। টাইগাররা এখন যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। সিরিজ জয় কিংবা হারের কথা না ভেবে নিজেদের সেরাটা দেয়ার প্রতি বেশি মনোযোগী তারা। দিল্লির জয় এখন রাজকোট ম্যাচের আগেও দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করছে সফরকারীদের। এ ম্যাচটি জিততে পারলে ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করতে পারবে বাংলাদেশ। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে গড়া বাংলাদেশ দলও সে লক্ষ্য সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে। আগের ম্যাচে বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখনো তরুণ আফিফ হোসেনও সংবাদমাধ্যমকে জানালেন নিজেদের সেই লক্ষ্যের কথা। সে সঙ্গে বলেন, দিল্লিতে পাওয়া আত্মবিশ্বাস এখন রাজকোটেও ধরে রাখতে চান তারা।
ত্রিদেশীয় সিরিজেই নজর কেড়েছিলেন আফিফ। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও ছিলেন উজ্জ্বল। অবদান রেখেছেন দলের জয়েও। তবে এখনই সিরিজ জয়ের ব্যাপারে বেশি ভাবতে চান না তিনি। মনোযোগ রাখতে চান নিজেদের পারফরম্যান্সে, ‘আমরা সিরিজ জেতা কিংবা হারা নিয়ে ভাবছি না। আমরা এখন নিজেদের কাজের ব্যাপারেই বেশি মনোযোগী এবং পরে কী হবে সেসব নিয়ে চিন্তিত না।’
এ সময় আফিফের কাছে জানতে চাওয়া হয় দিল্লিতে হারের পর ভারত চাপে থাকবে কিনা। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারব না ভারত চাপে আছে কিনা। কিন্তু প্রথম ম্যাচ জিতে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমাদের পরবর্তী ম্যাচে যা আরো ভালো খেলতে সাহায্য করবে।’
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল না থাকায় ভারত সফরের শুরু থেকেই অভিজ্ঞতার অভাব ছিল বাংলাদেশ দলে। তবে অধিনায়ক এবং কোচ তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছেন দারুণভাবে বলে জানান আফিফ, ‘ড্রেসিংরুমের অবস্থা খুব ভালো। আমাদের অধিনায়কের বার্তা ছিল, যে যেটা ভালো করতে সক্ষম, সেটাই যেন করি। কোচ আমাদের বলেছেন মন খুলে খেলতে। আর সে কারণেই খেলোয়াড়রা এমন স্বাধীনভাবে মন উজাড় করে খেলতে পারছে।’
কেবল অধিনায়ক এবং কোচই নন, দলের অন্য সিনিয়র খেলোয়াড়রাও সাহায্য করেছেন তরুণদের। উৎসাহিত করেছেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে। সিনিয়রদের সহায়তার কথা উল্লেখ করে আফিফ বলেন, ‘সিনিয়র খেলোয়াড়রা জুনিয়রদের অনেক বেশি সাহায্য করেছেন; যা আমাদের চাপমুক্ত ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে সহায়তা করেছে। আশা করছি, সামনেও কোনো সমস্যা হবে না।’ বাংলাদেশের দিল্লি জয়ের পেছনে দারুণ ভূমিকা রেখেছে ফিল্ডিং। সে ম্যাচে ফিল্ডারদের শরীরী ভাষাও ছিল বেশ আত্মবিশাসী। আফিফও জানালেন, ফিল্ডিং নিয়ে আলাদাভাবে কাজ