জাতীয় লিগে দ্বিতীয় স্তরের দুটি ম্যাচই শেষ হয়েছিল তৃতীয় দিনে। প্রথম স্তরের দুটি ম্যাচ ছিল ফলের অপেক্ষায়। যেখানে উত্তেজনা জমিয়ে রংপুরকে হারিয়ে দিয়েছে খুলনা। জিততে হলে শেষ উইকেটে ১৬ রানের হিসাব মেলাতে হতো খুলনাকে। দারুণ নৈপুণ্যে মঈনুল হোসেন ও আবদুল হালিম শেষ উইকেটে ঠিকই জিতিয়ে দিয়েছে খুলনাকে। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এ রকম ন্যূনতম ব্যবধানে আর কোনো জয়ের নজির নেই। ঢাকা অবশ্য পেয়েছে অনায়াস জয়। দুই ইনিংস মিলিয়েও ঢাকার এক ইনিংসের রান সংগ্রহ করতে পারেনি রাজশাহী। ইনিংস ও ৪ রানে হেরে এখন টেবিলের তিন নম্বরে রাজশাহী।
মিরপুরে ৫ উইকেটে ১৩০ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিল খুলনা। তখন পর্যন্ত জয়ের পথটা বেশ সহজই ছিল তাদের জন্য। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭৩ রান। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান ও জিয়াউর রহমান ইনিংস টেনে নিয়ে যান ১৭৭ রান পর্যন্ত। ৫৬ রান করা মেহেদীকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। দলীয় ১৮৪ রানে ফিরে যান জিয়াউর রহমানও। ৫৩ রান করা জিয়াকেও ফেরান শুভ। দলীয় ১৮৭ রানে পরপর দুই বলে আবদুর রাজ্জাক ও রুবেল হোসেনকে ফিরিয়ে দেন মাহমুদুল হাসান। এ অবস্থায় শুরু হয় মঈনুল ও হালিমের লড়াই। দুজন মিলে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দলকে এনে দেন এক উইকেটের জয়। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেদী। এ জয়ের পর ২৬.৪৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে খুলনা। চার নম্বরে থাকা রংপুরের পয়েন্ট ৮.২২।
এই স্তরের অন্য ম্যাচে ইনিংস হার এড়িয়ে ড্র করার চ্যালেঞ্জ ছিল রাজশাহীর সামনে। আগের দিনের ৩ উইকেটে ৭৭ রানে ব্যাট করতে নামে জুনায়েদ সিদ্দিকী ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই স্কোরে মাত্র এক রান যোগ করেই ফিরে যান জুনায়েদ। নাজমুল ইসলামের বলে বোল্ড হওয়ার আগে জুনায়েদ করেন ৪১ রান। দলীয় ১২৮ রানে ফরহাদ হোসেনকে ফেরান সালাউদ্দীন শাকিল। তিনি করেন ২৮ রান। এরপর শান্ত ও সাব্বির রহমান চেষ্টা করেন ইনিংস মেরামতের। কিন্তু ৫১ রানে শান্ত ও ৫৮ রানে সাব্বির ফিরে গেলে হার একরকম নিশ্চিত হয়ে যায় রাজশাহীর। দ্রুত উইকেট হারিয়ে একপর্যায়ে ইনিংস ও ৪ রানে হার মানতে হয় রাজশাহীকে। ম্যাচসেরা হয়েছেন শুভ। এ জয়ে দুই নম্বরে থাকা ঢাকার