আইপিও ছাড়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানি সৌদি আরামকো। এর মাধ্যমে কার্বন ও পুঁজিবাদের চূড়ান্ত মিলনের মঞ্চ প্রস্তুত হলো। যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে বিপুল অর্থ রয়েছে এবং যারা পরিবেশ ও জলবায়ু ইস্যুকে তেমন পাত্তা দেয় না, তাদের সামনে বড় সুযোগ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। অবশ্য যাদের পেনশন ফান্ডে বড় অংকের অর্থ রয়েছে, তারাও আরামকোর আইপিও ক্রয়ের সুযোগ পাবেন।
কার্বন নিঃসরণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি অর্থ বিনিয়োগও জরুরি। আগামী দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার অর্ধেক কমিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বৈজ্ঞানিকরা। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতার পরও আইপিও ছাড়ার মাধ্যমে বড় অংকের নগদ অর্থ সংগ্রহ সম্ভব হচ্ছে আরামকোর।
আধুনিক সময়ে বিশ্বের শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী কোম্পানি হচ্ছে সৌদি আরামকো। গার্ডিয়ানের সাম্প্রতিক দূষণকারীদের জরিপে দেখা গেছে, এই তেল ও গ্যাস উত্তোলনকারী কোম্পানি ১৯৬৫ সালের পর বিশ্বে ৫ হাজার ৯০০ কোটি টন কার্বন নিঃসরণ করেছে। আগামী দশকে এ দূষণের হার আরো বাড়তে পারে এবং এই একটি প্রতিষ্ঠানই আগামীতে ৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করবে, যেখানে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এ কোম্পানিতে সৌদি রাজপরিবারের একচ্ছত্র প্রভাব থাকায় কার্বন নিঃসরণ কমাতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে যাত্রা করলেও এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে মনে হচ্ছে না।
এ মুহূর্তে বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা গেছে, কারা কোম্পানির শেয়ারগুলো কিনছে এবং কীভাবে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করা হবে। এছাড়া তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোম্পানিটি কি আরো স্বচ্ছ হবে এবং জলবায়ু বিপর্যয় ঠেকাতে পদক্ষেপ নেবে—এ প্রশ্ন উঠছে। তবে কোম্পানিটির অতীত ও বর্তমান পদক্ষেপ দেখে সে ব্যাপারে আশ্বস্ত হওয়া যাচ্ছে না।
আরামকোর আইপিও ক্রয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া, চীন ও আবুধাবির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলো। আরো অনেক কোম্পানি হয়তো এগিয়ে আসবে, তবে বেশির ভাগ বৃহৎ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের অর্থনৈতিক ও সুনামগত বিষয় মাথায় রেখে ভেবেচিন্তে এগোচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন উদাহরণ স্থাপন করেছে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ তহবিল টেমাসেক। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, জলবায়ুসংক্রান্ত উদ্বেগের জেরে আরামকোর আইপিওতে তারা কোনো বিনিয়োগ করবে না।
এছাড়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টিও থাকছে উদ্বেগের জায়গায়। সৌদি রাজপরিবার গণতান্ত্রিকও নয়, উদারও নয়। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ
- মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত বিস্তারে অনিশ্চয়তার মুখে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
- এশিয়ার বাজারে ফ্লাইং কার আনছে বোয়িং
- ব্রিকসে কলম্বিয়ার প্রার্থিতায় সমর্থন করবে ব্রাজিল
- ইসরায়েলের ক্রেডিট রেটিং কমাল এসঅ্যান্ডপি
- চীনে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা মরগান স্ট্যানলির
- আয় ও মুনাফায় পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে টিএসএমসি