যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বকালে সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তের মুখোমুখি ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসন তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। এর আগে যে তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন, তারা হলেন অ্যান্ড্রু জনসন, রিচার্ড নিক্সন ও বিল ক্লিনটন।
গত গ্রীষ্মে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলা দুই বছরব্যাপী রাশিয়া তদন্ত শেষ হয়। স্পেশাল কাউন্সেলর রবার্ট ম্যুয়েলারের প্রতিবেদন প্রকাশের পর তার বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের ‘উইচ হান্টের’ কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প। যদিও ২০১৬ মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং সেখানে ট্রাম্পের সংশ্লিষ্টতা তদন্তে তাকে পুরোপুরি দায়মুক্তি দেয়া হয়নি। এর রেশ কাটতে না কাটতে গত ২৫ জুলাই একটি বেফাঁস টেলিফোন কলে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়েন ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসে রবার্ট ম্যুয়েলারের সাক্ষ্যে ডেমোক্র্যাটরা অসন্তুষ্ট হলেও তাদের অজ্ঞাতেই তাদের হাতে মসলা তুলে দেন ট্রাম্প। ইউক্রেনের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভলদাইমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোন আলাপে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্ত চালুর অনুরোধ করেন।
ট্রাম্পের সম্ভাব্য এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর জন্য চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ইউক্রেনে ৪০ কোটি ডলার সহায়তা আটকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য সেসব দাবি উপেক্ষা করে ট্রাম্প বলেন, জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় কোনো অসৌজন্যমূলক প্রস্তাব দেয়া হয়নি।
তবে হুইশেলব্লোয়ারের এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর সবকিছু উলটপালট হয়ে যায়। হুইশেলব্লোয়ারের প্রতিবেদন ও হোয়াইট হাউজ কর্তৃক প্রচারিত টেলিফোন আলাপের খসড়া কপিতে (নন-ভারবেটিম ট্রান্সক্রিপ্টে) দেখা যায়, রাজনৈতিক সুবিধাপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন ট্রাম্প।
আগামী কয়েক মাসে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত হাউজ অব কংগ্রেসের বেশ কয়েকটি কমিটি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত পরিচালনা করবেন। হোয়াইট হাউজ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং ট্রাম্প মোটা দাগে সিনেটরদের ওপর নির্ভর করছেন। তবে সিনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে ২০ জনের মতো সিনেটর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেঁকে বসতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্তের ঘটনাপঞ্জি এপ্রিল ৭, ২০১৯: ফক্স নিউজ টেলিভিশনে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে রুডি জিউলিয়ানি অভিযোগ তোলেন, হান্টার বাইডেনসংশ্লিষ্ট একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করায় ইউক্রেনের প্রসিকিউটরের চাকরিচ্যুতিতে ভূমিকা রাখেন। মে ৬: ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ম্যারি ইওভানোভিচকে নির্ধারিত সময়ের কয়েক মাস আগে প্রত্যাহার করে ট্রাম্প প্রশাসন। জুন ১৩: এবিসি টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে ট্রাম্প স্বীকার করেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিদেশী সরকারের দেয়া তথ্য গ্রহণ করবেন।
জুলাইয়ের প্রথম ভাগ : ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের জন্য জরুরি সামরিক