দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

রফতানিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে জীবাশ্ম জ্বালানির আমদানি

বণিক বার্তা ডেস্ক

 দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে পাশাপাশি অব্যাহতভাবে বাড়ছে অঞ্চলে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কার্বন নির্গমনের পরিমাণও বাড়ছে অভ্যন্তরীণ জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ এতে অঞ্চলের দেশগুলো এখন জীবাশ্ম জ্বালানি রফতানির চেয়ে আমদানির দিকে বেশি ঝুঁকছে এমনকি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানিতে নিট আমদানিকারক (রফতানির তুলনায় আমদানি ব্যয় বেশি) দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে অঞ্চল ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) বার্ষিক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে খবর রয়টার্স

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জ্বালানি ব্যবহারের পূর্বাভাস প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, অঞ্চলের অর্থনীতি এখন কম জ্বালানি প্রয়োজন হয়, এমন উৎপাদন সেবার দিকে বেশি ঝুঁকছে যার ফলে অঞ্চলে জ্বালানি চাহিদা প্রবৃদ্ধি শ্লথগতিতে থাকার কথা ছিল তা সত্ত্বেও চাহিদা পূরণে দেশগুলো এখন আমদানি বাড়াতে যাচ্ছে

জ্বালানি পর্যবেক্ষক সংস্থাটির মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের নিট আমদানিকারক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে গত বছর অঞ্চলের দৈনিক ৪০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছে এমনকি প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বৃত্তের পাশাপাশি রফতানি কমে যাচ্ছে

আইইএর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বের শীর্ষ কয়লা উত্তোলক দেশ ইন্দোনেশিয়ার উত্তোলন ছিল ৪০ কোটি টন কিন্তু সময় অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং ভারত চীনের বাজারে রফতানি বাড়ায় উদ্বৃত্ত কমে এসেছে

জীবাশ্ম জ্বালানির উদ্বৃত্ত কমে যাওয়ার চিত্র উঠে এসেছে আইইএর প্রতিবেদনেও তথ্য বলছে, ২০১১ সালে অঞ্চলের জ্বালানি চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত সরবরাহ ছিল ১২ কোটি টন জ্বালানি তেলের সমান যেখানে গত বছরে উদ্বৃত্ত সরবরাহ কমে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি টনের বেশি জ্বালানি তেলের সমপরিমাণ এভাবে উদ্বৃত্ত কমে আসার ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জীবাশ্ম জ্বালানির নিট আমদানিকারক দেশের জায়গায় পৌঁছাবে বলে মনে করছে সংস্থাটি

অন্যদিকে অব্যাহতভাবে আমদানিনির্ভরতা বাড়লে সেটি অঞ্চলের জ্বালানি নিরাপত্তাকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলবে বলে মনে করছে আইইএ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে অঞ্চলের জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণে আমদানির ওপর নির্ভরতা ৬৫ শতাংশ কিন্তু ২০৪০ সালের মধ্যে আমদানিনির্ভরতা বেড়ে ৮০ শতাংশ অতিক্রম করবে আর সময়ের মধ্যে মোট জ্বালানির চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে ৬০ শতাংশ যেখানে বাকি দেশগুলোয় চাহিদা বাড়বে ১২

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন