ডেইরি পণ্য উৎপাদনে ফিলিপাইন খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। অভ্যন্তরীণ চাহিদার বেশির ভাগ বিদেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে দেশটি। এ কারণে ফিলিপাইন হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ডেইরি পণ্য আমদানিকারক দেশ। চলতি বছর দেশটি রেকর্ড পরিমাণ ডেইরি পণ্য আমদানি করতে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইএনডিএ) ফরেন এগ্রিকালচার সার্ভিস (এফএএস) সম্প্রতি এ তথ্য দিয়েছে। খবর ফিলিপাইন স্টার।
এফএএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিপাইনের অর্থনীতি দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে জনসংখ্যা। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ডেইরি পণ্যের দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে। দামের সুবিধাজনক অবস্থান ও চাহিদায় চাঙ্গা ভাব বজায় থাকায় সমানুপাতিক হারে খাদ্যপণ্যটির আমদানি বাড়াচ্ছে দেশটির আমদানিকারকরা। এতে যুক্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া থেকে শুল্কমুক্ত ডেইরি পণ্য ক্রয়ের সুবিধা, যা পণ্যটির আমদানি বাড়াতে অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
সব মিলিয়ে চলতি বছর দেশটির ডেইরি পণ্য আমদানি আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বাড়তে পারে।
ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর ফিলিপাইন মোট ৩৭ লাখ টন তরল দুধ কিনতে পারে, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গত বছর পণ্যটির আমদানির পরিমাণ ছিল ২৯ লাখ টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে তরল দুধের আমদানি বাড়তে পারে ছয় লাখ টন।
বছরের প্রথম অর্ধেকে (জানুয়ারি-জুন) ফিলিপাইন আন্তর্জাতিক বাজার থেকে মোট ১৭ লাখ ৯০ হাজার টন তরল দুধ আমদানি করেছে। এ সময় মোট আমদানীকৃত ডেইরি পণ্যের ৭৫ শতাংশ রয়েছে ননিযুক্ত ও ননিমুক্ত গুঁড়ো দুধের দখলে।
বর্তমানে দেশটির বার্ষিক মাথাপিছু তরল দুধ ব্যবহারের মাত্রা ২২ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। দেশটিকে ভাবা হচ্ছে দুগ্ধজাত পণ্যের বৃহৎ সম্প্রসারিত বাজার হিসেবে। তবে মোট চাহিদার ১ শতাংশের কম অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদন করতে সক্ষম দেশটি। তবে উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি দিন দিন বাড়ছে। চলতি বছর দেশটিতে মোট ২৫ হাজার টন তরল দুধ উৎপাদন হতে পারে। আগামী বছর এর পরিমাণ আরো বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২৬ হাজার টনে।
উল্লেখ্য, গম ও সয়াবিনের পর ফিলিপাইনের তৃতীয় শীর্ষ আমদানি পণ্য ডেইরি। দেশটির ডেইরি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। এসব দেশ থেকে ফিলিপাইনের ডেইরি আমদানি শেয়ার যথাক্রমে ৩৯, ২১ ও ৭ শতাংশ। তবে এ খাতে উৎপাদন বাড়াতেও চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশটি। 
