ট্রাম্পের মন্তব্যে ‘উদ্বিগ্ন’ সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত

বণিক বার্তা অনলাইন

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা এক মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত ম্যারি ইয়োভানোভিচ। তিনি কংগ্রেস কমিটিকে জানিয়েছেন, ‘ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন তা রহস্যপূর্ণ এবং এটা নিয়ে আমি এখনও উদ্বিগ্ন।’

ওই ফোনালাপে ইউক্রেনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাশা ইভানোভিচের প্রতি ইঙ্গিত করে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বলেন, দেখুন, তাকে (ইয়োনোভিচ) কিছু একটার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিশংসন তদন্তের অংশ হিসেবে কংগ্রেস কমিটির কাছে দেওয়া সাক্ষ্যে তিনি এমন উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন। সোমবার ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন কমিটি এ বিষয়ে প্রথম একটি প্রতিলিপি প্রকাশ করেছেন। যা নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২৫ জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমিয়ার জেলেনস্কিকে ফোন করে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে চাপ দেন।

বাইডেনের ছেলে একটি গ্যাস কোম্পানিতে কাজ করতেন। এসময় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। তবে সেসময় বাইডেন চাপ প্রয়োগ করে সেই দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ দেন। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ফোন করে নতুন করে তদন্ত শুরু করতে চাপ প্রয়োগ করেন ট্রাম্প। এমনকি কিছু দিনের জন্য ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহয়তা বন্ধ রাখেন। ফোনালাপের এক পর্যায়ে ইউক্রেনের রাষ্ট্র প্রধানকে ট্রাম্প ওই মন্তব্য করেন।

ট্রাম্পের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইয়োনোভিচ বলেন, ‘আমি জানি না এর অর্থ কী। আমি ভীষণ উদ্বিগ্ন। এখনও উদ্বেগ রয়েছি’। এবিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ডের পরামর্শ চান। তখন তিনি তাকে ট্রাম্পের প্রশংসা করে টুইট করার পরামর্শ দেন। তবে এমন পরামর্শ তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখেননি। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত আইনজীবী তাকে অপমান করার চেষ্টা করেন। 

তিনি আরো জানান, মার্কিন আইন প্রণেতারা গত এপ্রিল মাসে তাকে দেশে ফিরে আসতে বলে। যে কারণে সময় শেষ হওয়ার আগেই তাকে সে দেশে ফেরে। সোমবার তদন্ত কমিটি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পস্পের গত মাসের সাক্ষ্যগ্রহণের প্রতিলিপিও প্রকাশ করেছে।এছাড়া তদন্তের জন্য সেই দিনই চার মার্কিন কর্মকর্তাকে সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। তবে সেই ডাকে সাড়া দেয়নি তারা। 

এব্যাপারে ওয়াশিংটনে বিবিসির প্রতিনিধি অ্যান্টনি জুরচার বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন বক্তব্য ও চাপ সৃষ্টি কূটনীতিদের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে।এমনকি তদন্তেও প্রভাব ফেরতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন