ব্যাংকিং খাতের নৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য ভঙ্গুর

হাছান আদনান

ব্যাংকের ইকুইটির বিপরীতে আয় (আরওই) ১০ শতাংশের বেশি হলে তাকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। যদিও চলতি বছরের জুন শেষে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর গড় আরওই শতাংশে নেমে এসেছে। সম্পদের বিপরীতে আয় (আরওএ) নেমে এসেছে শূন্য দশমিক শতাংশে। ব্যাংকিং খাতের মোট মূলধনের চেয়ে বেশি হয়ে গেছে খেলাপি ঋণ। বিপুল খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশনও (সঞ্চিতি) সংরক্ষণ করতে পারছে না ব্যাংকগুলো।

দেশের ব্যাংকিং খাতের অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে নৈতিক স্বাস্থ্যও। অনেক ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন। কোনো ব্যাংকের শাখা পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনিয়মে জড়াচ্ছেন। গ্রাহকের সঙ্গে যোগসাজশে ঋণের নামে অর্থ আত্মসাৎ করছেন। এসব ঘটনায় ব্যাংকার গ্রাহকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাও হচ্ছে।

ব্যাংকিং খাতের অর্থনৈতিক অবস্থা বুঝতে গ্রহণযোগ্য সূচকগুলো হলো সম্পদের বিপরীতে আয়, নিট সুদ আয় সুদবহির্ভূত আয়। ইকুইটির বিপরীতে আয়, খেলাপি ঋণের হার, মূলধনের বিপরীতে খেলাপি ঋণ, খেলাপি ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের হারও বিবেচনায় নেয়া হয় এক্ষেত্রে। গত ১০ বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতের এসব সূচকেই ধারাবাহিক অবনমন হয়েছে।

ঋণ শ্রেণীকরণের মেয়াদ বৃদ্ধি, ঋণ পুনঃতফসিল অবলোপন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, আইনি কাঠামো সংস্কারসহ দেশের ব্যাংকিং খাতকে সঠিক পথে আনতে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যদিও এসব উদ্যোগের কোনোটিরই সুফল এখনো দৃশ্যমান হয়নি। পুনঃতফসিলের হিড়িক সত্ত্বেও কমছে না খেলাপি ঋণ। ব্যাংকের মৌলিক সূচকগুলোরও উন্নতি হচ্ছে না।

কোনো ব্যাংকের আরওই ১০ শতাংশের বেশি হলে সেটিকে আদর্শ ব্যাংক হিসেবে ধরা হলেও চলতি বছরের জুন শেষে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর গড় আরওই শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও ২০১০ সালে দেশের ব্যাংকগুলোর গড় আরওই ছিল ১৯ দশমিক শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা মূলধন জোগান দিয়ে বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের আয় হচ্ছে টাকা, যা দেশের মূল্যস্ফীতিরও প্রায় অর্ধেক।

একইভাবে বড় বিপর্যয় হয়েছে ব্যাংকের সম্পদের বিপরীতে আয়ে (আরওএ) কোনো ব্যাংকের আরওএ - শতাংশ হলে সেটিকে আদর্শ মানদণ্ডে বিচার করা হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর আরওএর গড় ছিল দশমিক শতাংশ। চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকগুলোর আরওএ শূন্য দশমিক শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে বছর শেষে ব্যাংকের নিট আয় হচ্ছে মাত্র ২০ পয়সা।

শুধু ইকুইটির বিপরীতে আয় বা

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন