সড়ক পরিবহন: নতুন আইনে পুরনো বিশৃঙ্খলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ কার্যকর হয়েছে শুক্রবার থেকে। নতুন আইন কার্যকর হলেও এখনো সেটি প্রয়োগে সক্ষম হননি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত। মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯-এর তফসিলভুক্ত না হওয়ায় নতুন আইনে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। একইভাবে সফটওয়্যার হালনাগাদ না থাকায় জরিমানা আদায় করতে পারছে না ট্রাফিক পুলিশও। আর বিধি প্রণয়ন না হওয়ায় আইনটি কার্যকরের সুফল নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ কোনো জরিমানা আদায় হবে না।

সরেজমিন ঢাকার বিভিন্ন সড়কে আগের মতোই বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েছে। দেখা গেছে মাঝ রাস্তায় বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলতে-নামাতে। চলেছে লক্কড়-ঝক্কড় বাসও। পাল্লা দিয়ে নিষিদ্ধ সড়কে চলতে দেখা গেছে রিকশাও। পথচারীরাও শামিল হয়েছে নিয়ম ভাঙার মিছিলে। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়েছে। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম চিত্রও ছিল। অনেককেই দেখা গেছে সতর্ক হয়ে চলাচল করতে। ঢাকার সড়কে সড়কে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনতা কার্যক্রমও ছিল চোখে পড়ার মতো।

জরিমানা নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের এক ধরনের ক্ষোভ কাজ করছে। অহেতুক বিভিন্ন জরিমানার পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়েছে বলে মত তাদের। ওয়েলকাম পরিবহনের চালক মো. হাসিবুল মনে করেন, চালকরাও চান নিয়মকানুন মেনে চলতে। কিন্তু রাস্তায় নামলেই অবস্থাটা এমন দাঁড়ায়, অনেক নিয়ম আর মানা সম্ভব হয় না। অনেক সময় সিগন্যাল ভাঙার জন্য যাত্রীরা চাপ দেন। নির্ধারিত সময়ে ট্রিপ শেষ করারও একটা ব্যাপার আছে। যাত্রীরা নির্ধারিত স্টপেজে যেমন দাঁড়ান না, তেমনি মাঝ রাস্তায়ও নেমে যেতে চান। পুরো সিস্টেমটাকেই খারাপ বলছেন তিনি। সিস্টেম না বদলে জরিমানা তিন-চার গুণ করেছে সরকার। এর মাধ্যমে পরিবহন শ্রমিকদের পেটে লাথি দেয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক আইন কার্যকর হলেও এখনো সেটি প্রয়োগ করতে পারছেন না বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এজন্য মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯-এর আইনটি তফসিলভুক্ত করতে হবে। তফসিলভুক্ত করার কাজটি দু-একদিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব--রব্বানি। তিনি বলেন, আইনটি কঠোরভাবে কার্যকরের আগে মানুষকে সচেতন করে তোলাও জরুরি। বিআরটিএ আপাতত

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন