পেঁয়াজের বাজার চড়া থাকবে আরো ১০-১২ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পেঁয়াজের বাজার আরো ১০-১২ দিন চড়া থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় রাষ্ট্রদূত জুলিয়া নিবলেটের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এস আলম, সিটি মেঘনা গ্রুপ প্রায় ৬২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে। বিরাজমান সংকটে দাম বিবেচনায় পণ্যটির বাজার আরো ১০-১২ দিন চড়া থাকতে পারে। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি এড়াতে পেঁয়াজে স্বনির্ভর হতে হবে।

পেঁয়াজের সরবরাহ দাম নিয়ে চলমান সংকট নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আজকে (গতকাল) আমাদের কাছে টিসিবির প্রতিবেদন এসেছে, পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা কমেছে। চট্টগ্রামে আমাদের পুরো দল গেছে। তারা খাতুনগঞ্জে বাজার মনিটরিং করছে। সবদিক দিয়েই আমরা দেখছি। তবে মনে হচ্ছে, ভারত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা বা আমাদের উৎপাদনের পণ্য বাজারে না ওঠা অথবা মিসর থেকে বড় চালান না আসা পর্যন্ত বাজার একটু চড়ায় থাকবে। এটা বাস্তবতা। মিসরের লট হয়তো দু-তিনদিনের মধ্যে আসবে। বড় ৫০ হাজার টনের লটটি ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে আসতে শুরু করবে। এতে বাজারে হয়তো কিছুটা প্রভাব পড়বে। ভারতের বেঙ্গালুরু জোন থেকে নয় হাজার টন আসবে। আমাদের পেঁয়াজ আসে মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক অঞ্চল থেকে। সেখান থেকে এখনো আসছে না। আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি, তারা যাতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

ব্যক্তি খাতের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পেঁয়াজ আমদানি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সিটি মেঘনা গ্রুপের ১০-১১ হাজার টন পেঁয়াজ এরই মধ্যে শিপমেন্ট হয়েছে। দু-তিনদিনের মধ্যে যেকোনো সময় আশা করছি পৌঁছে যাবে। আর এস আলম পরিকল্পনা করেছে ৫০ হাজার টন আনার। এর কিছু অংশ জাহাজে তোলা হয়েছে। প্রথম লটটি চলে আসবে দ্রুত। পুরো শিপমেন্টটি সম্পন্ন হতে থেকে ১০ দিন লাগবে। গতকাল  প্রায় এক হাজার টন ঢুকেছে মিয়ানমার থেকে। ২৫৮ টন ঢুকেছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। প্রায় হাজার ২০০ থেকে হাজার ৩০০ টন পেঁয়াজ ঢুকেছে বাংলাদেশে। আমাদের প্রতিদিন দরকার হয় তিন-চার হাজার টন। প্রতিদিনের গড় কনজাম্পশন ছয় হাজার টন। সে বিবেচনায় পুরোটা আসবে না। নিজেদের কিছু উৎপাদন রয়েছে, আর এসব বাজার থেকে আসছে। এক্ষেত্রে মিয়ানমারই মূলত সাপোর্ট দিচ্ছে।

স্বনির্ভরতাকেই পেঁয়াজের সরবরাহ দাম নিয়ে সমস্যার সবচেয়ে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন