জাতীয় সংসদে ভূমণ্ডল সম্পর্কিত জরুরি অবস্থা ঘোষণার (প্লানেটরি ইমার্জেন্সি) প্রস্তাব আনবে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। সংসদ সদস্য হিসেবে কমিটির সভাপতি বা অন্য কোনো সদস্য এ প্রস্তাব সংসদে তুলবেন। সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই এ প্রস্তাব তোলার উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে স্বল্প সময়ের এ অধিবেশনে এটি তোলা সম্ভব না হলে পরবর্তী অধিবেশনে তোলা হবে। সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিশ্বের অনেক দেশের সংসদে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, কেবল জলবায়ুই নয়, আগামী বিশ্বকে বায়ুদূষণ, নিরাপদ পানি ও খাদ্য সংকট, দুর্যোগসহ জীববৈচিত্র্য বহুবিধ সমস্যায় পড়তে হবে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সংসদে প্লানেটরি ইমার্জেন্সি মোশন প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সংসদে এ প্রস্তাব গ্রহণ হলে তা হবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম। আগামীতে ইকোসিস্টেমে নানা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা উল্লেখ করে এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, বিশ্বে যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে আগামীতে ৫০ শতাংশ খাদ্যোত্পাদন বাড়াতে হবে। এরই মধ্যে পৃথিবী থেকে ৬৫ শতাংশ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আগামীতে এক মিলিয়ন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে পড়বে।
তিনি জানান, এ প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন। একটি চিঠিও দিয়েছেন। সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে যে কার্যোপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে, সেখানে সম্মতি পাওয়া গেলে হয়তো আসন্ন অধিবেশনেই এটা তোলা সম্ভব হবে।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে কমিটি বিশ্ব পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে আলোচনার জন্য জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাব আনতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে নোটিস দিয়ে কোনো সংসদ সদস্য গুরুত্বপূর্ণ বা জরুরি কোনো বিষয়ে কোনো প্রস্তাব তুলতে পারেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০৫০ সালে