নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গতকাল বেলা ১১টায় উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বেলদী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরের প্রায় চার একর জমি দখল করে গড়ে ওঠা তিনটি অবৈধ ইটভাটার ৩০টি স্থাপনা ও তিনটি চুল্লি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শাহ্ হাবিবুর রহমান হাকিম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম হাবিবুর রহমান জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ভরাট করে গড়ে ওঠা বায়েজিদ হোসেনের মালিকানাধীন মা ব্রিকসের চারটি দেয়ালসহ ১০টি স্থাপনা ও প্রায় ১৫০ ফুট উঁচু চুল্লি, রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন এমএবি ব্রিকসের চারটি দেয়ালসহ ১০টি স্থাপনা ও প্রায় ১০০ ফুট উঁচু চুল্লি, হেলালউদ্দিনের মালিকানাধীন এমএইচবি ব্রিকসের চারটি দেয়ালসহ ১০টি স্থাপনা ও প্রায় ১০০ ফুট উঁচু চুল্লি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় একটি ভাটায় স্তূপকৃত কয়লা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করা হয়।
অভিযানকালে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, সাইফুল হক খান, উপপরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বেলদী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে জমি দখল করে গড়ে ওঠা তিনটি অবৈধ ইটভাটার ৩০টি স্থাপনা ও তিনটি সুউচ্চ চুল্লি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে নদী অবৈধ দখলমুক্ত অভিযান চলমান। নদী দখলদারদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এদিকে ইটভাটার মালিক বায়েজিদ হোসেন ও রফিকুল ইসলামের দাবি, ইটভাটাগুলো তাদের পৈত্রিক জমিতে স্থাপন করা হয়েছিল। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তাদের ইটভাটা ভেঙে দেয়া হয়েছে। উচ্ছেদের কারণে কোটি টাকার লোকসান হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।
