পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ঋণমান ‘ডাবল এ মাইনাস’

নিজস্ব প্রতিবেদক

দাবি পরিশোধের সক্ষমতার (সিপিএ) ভিত্তিতে পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমানডাবল মাইনাস ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)

চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮৮ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ১৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৫ টাকা ১৯ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে পিপলস ইন্স্যুরেন্স। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে টাকা ৫৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ২০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৮৭ পয়সা।

২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় পিপলস ইন্স্যুরেন্স। এছাড়া ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল পিপলস ইন্স্যুরেন্স শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২১ টাকা ৬০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ২১ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৫ টাকা ৮০ পয়সা ২৮ টাকা।

১৯৯০ সালে তালিকাভুক্ত পিপলস ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা কোটি ৬২ লাখ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ৪৭ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত দশমিক ৬৪, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ১৫।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন