গবাদি পশুখাদ্য উৎপাদন-বিপণন

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইসেন্স পেয়েছে সিলভা ফার্মা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গবাদি পশুখাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ বিপণনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইসেন্স (নং-১৫৯) পেয়েছে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। রোববার কোম্পানিটি সনদ হাতে পায়। লাইসেন্সের অধীনে প্রাথমিকভাবে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসকে ২০ ধরনের পণ্য উৎপাদন-বিপণনের অনুমোদন দিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য মোট ১১ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাবেন কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের বাদ দিয়ে অন্য শেয়ারহোল্ডাররা (আইসিবি ব্যতীত) এছাড়া সব ধরনের শেয়ারহোল্ডাররা শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পাবেন। গতকাল অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সুপারিশ করা হয়।

ঘোষিত লভ্যাংশ, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনার জন্য ২৫ নভেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত হোয়াইট হল কনভেনশন সেন্টারে সিলভা ফার্মার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। -সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে নভেম্বর।

সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। হিসাবে গত হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে কোটি লাখ ৩০ হাজার টাকা। আলোচ্য সময়ে সিলভা ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ১৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৯৩ পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪১ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৭ টাকা ১১ পয়সা।

২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৩০ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭১ কোটি লাখ ৬০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩ কোটি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৯৭, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২৮ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস শেয়ারের সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা ৫০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৪ টাকা ৬০ পয়সা ৩৯ টাকা ৮০ পয়সা।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২২ দশমিক ৯২, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে যা ১৪ দশমিক ৩৫।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন