রংপুর অঞ্চল

আলুবীজ বরাদ্দ ৫০০ টন কমিয়েছে বিএডিসি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি রংপুর

 রংপুর কৃষি অঞ্চলে চলতি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে এজন্য আলুবীজ লাগবে অন্তত লাখ ৩৭ হাজার টন এর বিপরীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে সরবরাহ করা হবে হাজার ২২৫ দশমিক ৭৯১ টন বীজ, যা চাহিদার মাত্র শতাংশের কিছু বেশি আর গত মৌসুমের তুলনায় এবার অঞ্চলটিতে বিএডিসি আলুবীজের বরাদ্দ কমিয়েছে ৫০১ টন

বিএডিসি রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালকের (বীজ বিপণন) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বরাদ্দকৃত আলুবীজের মধ্যে নিবন্ধিত ডিলারদের দেয়া হবে হাজার ২১০ টন তারা কৃষকদের কাছে বীজ বিক্রি করবেন অন্যদিকে সরাসরি কৃষক বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে হাজার ১৫ দশমিক ৭৯১ টন

এর মধ্যে রংপুর জেলার ১৯২ ডিলারের জন্য ৯৬০, গাইবান্ধায় ৮০ ডিলারের জন্য ৪০০, লালমনিরহাটে ১০০ ডিলারের জন্য ৫০০, নীলফামারীর ১১০ ডিলারের জন্য ৫৫০ কুড়িগ্রামে ১৬০ ডিলারের জন্য ৮০৩ দশমিক ৮৩ টন বীজ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে প্রত্যেক ডিলার বীজের বরাদ্দ পাবেন টন করে এর মধ্যে গত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫০০ ডিলার বীজ উত্তোলনের জন্য বুকিং শেষ করেছেন এবার ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুবীজের জাত মানভেদে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২১-৩৫ টাকা

ঢাকা খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. আবু সায়েম বলেন, ভালো ফলন পেতে হলে মানসম্মত বীজ ব্যবহারের বিকল্প নেই প্রতি হেক্টরে আলুবীজের প্রয়োজন হয় হাজার ৪০০ থেকে হাজার ৫০০ কেজি হেক্টরপ্রতি হাজার ৫০০ কেজি হিসেবে রংপুর অঞ্চলে এবার ৯১ হাজার ৪০০ হেক্টরের জন্য বীজ লাগবে লাখ ৩৭ হাজার ১০০ টন দেশের মধ্যে রংপুরেই সব থেকে বেশি পরিমাণের আলুর আবাদ হয়

এদিকে কৃষক ডিলাররা বলছেন, এমনিতেই প্রতি বছর চাহিদার তুলনায় বিএডিসি থেকে খুব সামান্য পরিমাণ আলু বীজ সরবরাহ করা হয়, যা কখনই চাহিদার - শতাংশের বেশি হয় না এর মধ্যে এবার বরাদ্দ আরো কমেছে গত মৌসুমেও যেখানে হাজার ৭২৭ টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, সেখানে এবার বরাদ্দ কমে হয়েছে হাজার ২২৫ টন অথচ কৃষক পর্যায়ে বিএডিসির আলুবীজের ভালো চাহিদা রয়েছে অবস্থায় ডিলারদের সংগঠন থেকে বীজটির বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন