উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া একদল শিক্ষার্থী এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাতালিকায় স্থান পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি হতে পারছেন না। গতকাল তাদের একাংশ ভর্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান নিয়ে এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মানোন্নয়নকৃত শিক্ষার্থীদের আবেদন যোগ্যতা নিয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে অস্পষ্টতা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ১১ হাজার ৭৪১ জন মানোন্নয়নকৃত শিক্ষার্থীর আবেদন গ্রহণ করে। এর পর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য তাদের প্রবেশপত্রও সরবরাহ করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাতালিকায় স্থান করে নেয়ার পর জানতে পারেন, তারা ভর্তির অযোগ্য।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনকালে ‘কাঁদতে আসিনি, যোগ্যতা নিয়ে ভর্তি হতে এসেছি’, ‘গত বছরের যোগ্যরা এবার মানোন্নয়ন দিলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না সার্কুলারে উল্লেখ নেই’, ‘ভুল আইসিটি সেলের, ভবিষ্যৎ নষ্ট আমাদের কেন?’ প্রভৃতি স্লোগান সংবলিত পোস্টার প্রদর্শন করেন। এর কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির একটি দল এসে তাদের পাঁচজনের প্রতিনিধি দলকে আলোচনার জন্য নিয়ে যায়। পরে তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর দেয়া হয় স্মারকলিপি। স্মারকলিপিটি ভর্তি কমিটিকে পাঠালে শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম ও মানোন্নয়নের পর প্রাপ্ত দুটি মার্কশিট, ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রসহ লিখিত আবেদন দিতে বলা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা বিকাল ৪টার দিকে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
মিকাঈল আহমেদ ফয়সাল নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, গতবার ভর্তির জন্য আবেদনের যোগ্যরা যে এবার মানোন্নয়নের ফল দিয়ে ফের ভর্তির জন্য আবেদনের যোগ্য হবেন না, তা বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা হয়নি। তাছাড়া ভর্তি পরীক্ষার সময়ও এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না।
আরেক শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন হূদয় বলেন, আমরা গত একটি বছর শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা অনেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল করেছি। এখন চবিতে ভর্তি হতে না পারলে আমাদের শিক্ষাজীবন নষ্ট হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব এসএম আকবর হোছাইন বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তের পর বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে।