বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে কেন?

মো. আবদুল লতিফ মন্ডল

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ইফপ্রি) ১৫ অক্টোবর তাদের তৈরিগ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স ২০১৯বা বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০১৯ প্রকাশ করেছে। ১১৭টি দেশের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গত বছরের চেয়ে দুই ধাপ অবনতি হয়েছে। বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের কেন অবনমন, মূলত তা আলোচনা করাই নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) তৈরি হয়েছে চারটি মাপকাঠিতে, প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি বিচার করে। পুষ্টি ঘাটতি, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর তীব্র অপুষ্টিতে উচ্চতার তুলনায় ওজন কম হওয়া তথা ওয়েস্টিং, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর অপুষ্টিতে বয়সের তুলনায় কম উচ্চতা তথা স্ট্যান্টিং, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার চার মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের স্কোর হিসাব করা হয়েছে ১০০ পয়েন্টের ভিত্তিতে। মাপকাঠিতে হচ্ছে সবচেয়ে ভালো স্কোর, যার অর্থ সেই দেশটিতে ক্ষুধা নেই, আর ১০০ হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। ১০-এর কম স্কোর পাওয়ার অর্থ হলো সেই দেশে ক্ষুধা সমস্যা কম। ২০ থেকে ৩৪. স্কোরের অর্থ তীব্র ক্ষুধা, ৩৫ থেকে ৪৯. স্কোর অর্থ ভীতিকর ক্ষুধা আর ৫০ বা তার বেশি স্কোর বলতে বোঝায় চরমভাবে ভীতিকর ক্ষুধায় পীড়িত দেশকে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে বেলারুশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক, কিউবা, উরুগুয়ে কুয়েতসহ ১৭টি দেশ, যাদের প্রত্যেকেরই জিএইচআই স্কোর -এর কম। ভীতিকর ক্ষুধার মধ্যে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মাদাগাস্কার, জাম্বিয়া, ইয়েমেন শাদ। আর ৫০-এর উপর স্কোর (৫৩.) করে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র তালিকার সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে।

এর আগে জাতিসংঘ খাদ্য কৃষি সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ শিশু তহবিল এবং আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) যৌথ উদ্যোগে চলতি বছরের ১৫ জুলাই প্রকাশিতদ্য স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০১৯শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়েই বাড়ছে ক্ষুধা অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা। ২০১৭ সালে যেখানে ৮১ কোটি ১০ লাখ মানুষ ক্ষুধা অপুষ্টিতে ভুগত, সে সংখ্যা এখন ৮২ কোটি ১০ লাখে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে ক্ষুধা অপুষ্টিতে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন