রিমান্ড শেষে কাউন্সিলর রাজিব কারাগারে

বণিক বার্তা অনলাইন

১৪ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিবকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ২১ অক্টোবর রাতে অস্ত্র ও মাদকের প্রত্যেক মামলায় এ আসামিকে সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমান ওই রিমান্ড শেষে রাজিবকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন 

এদিন আসামি রাজিবের পক্ষে অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিনসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই লিয়াকত আলী জামিনের বিরোধিতা করেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ অস্ত্র মামলায় এবং মহানগর হাকিম মোহাম্মদ দিদার হোসাইন মাদক মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার করে ব্যাব। ওই ঘটনায় র‌্যাব-১ এর ডিএডি মিজানুর রহমান ভাটারা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে । 

রাজীব ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তিনি আবার ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। 

তিনি নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার বাবা রডের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। তার চাচা ছিলেন রাজমিস্ত্রি। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই রাজীবের পরিবর্তন শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ অর্থ অর্জনসহ বিলাসবহুল জীবনযাপন কথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন