বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার মৃতদেহ দেশে আনতে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সাবেক এই মন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একথা জানিয়েছেন তিনি।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মারা যান খোকা।
সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকার সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন, আমি তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি তার বিদেহি আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি।’
গত পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন খোকা। এরমধ্যে দুর্নীতির মামলায় তার সাজাও হয়। এরই মধ্যে ২০১৭ সালে তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আর পাসপোর্ট পাননি বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
কিডনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬৪ বছর বয়সী সাদেক হোসেন খোকা দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়েন ক্যাটারিং ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর ক্রমে তার অবস্থা কার্যত জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পৌঁছায়।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খোকা দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে গিয়েছিলেন বলে বিএনপি নেতারা জানান। খোকার মৃতদেহ দেশে আনা নিয়ে কোনো সমস্যা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি তো ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকালই বলা হয়েছিল। তাকে আনার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে ও হবে, সে ঘোষণা তো আগেই দেওয়া হয়েছিল।’
সাদেক হোসেন ১৯৫২ সালের ১২ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালেও তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০০১ সালে তিনি মৎস ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করে ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল ঢাকার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
