রাজধানীতে আর্কএশিয়া ফোরাম উদ্বোধন

স্মার্ট শহর নির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারেন স্থপতিরা: স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী স্থাপত্যবিষয়ক ফোরামআর্কএশিয়া ফোরাম ২০। এশিয়ার ২১টি সদস্য দেশের দেড় সহস্রাধিক স্থপতি এ ফোরামে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশীসহ আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৪ জন খ্যাতিমান স্থপতি ফোরামে তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। ফোরামের এবারের প্রতিপাদ্যআর্কিটেকচার ইন এ চেঞ্জিং ল্যান্ডস্কেপ

গতকাল আর্কএশিয়া ফোরামের এবারের আসরের উদ্বোধন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আর্কএশিয়া ফোরাম ২০-এর আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. আবু সাঈদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) প্রেসিডেন্ট জালাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নওয়াজিশ মাহবুব, সাবেক প্রেসিডেন্ট কাজী গোলাম নাসির, ভাইস প্রেসিডেন্ট (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) মো. এহসান খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (জাতীয় সম্পর্ক) মামুন মোরশেদ চৌধুরী, আর্কএশিয়া ফোরাম ২০-এর আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা মোবাশ্বের হোসেন ও আর্কএশিয়ার প্রেসিডেন্ট রিটা সোহ।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ফোরাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নকে মাথায় রেখে স্থপতিদের নকশা প্রণয়নসহ অবকাঠামো (স্থাপত্য) নির্মাণ করতে হবে। একটি স্মার্ট শহরকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা রাখতে হবে। এ ধরনের স্মার্ট শহর নির্মাণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন স্থপতিরা। ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক নেতৃত্বের কেন্দ্রে থাকবে এশিয়া। এশিয়ার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে স্থপতিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এশিয়ার সামগ্রিক উন্নয়নে বড় ধরনের সহায়তা জোগাতে পারে এ ধরনের ফোরাম।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, একসঙ্গে কাজ করার বিকল্প নেই। এশিয়াকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে হলে সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্থপতিদের এ ধরনের যৌথ উদ্যোগকে অবশ্যই আমাদের স্বাগত জানাতে হবে। পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৈশ্বিক স্থাপত্যেও পরিবর্তন আসছে। এ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে এ ধরনের ফোরাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন