দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট

ভাঙনরোধে নেয়া হচ্ছে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নদী ভাঙনরোধ, নদীর তীর রক্ষা ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এজন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়ন করেছে।

গতকাল নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার ভাঙনকবলিত ঘাটগুলো রক্ষায় অতিরিক্ত বরাদ্দসংক্রান্ত বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মোতাহার হোসেন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নতুনভাবে আটটি ফেরিঘাট এবং দৌলতদিয়ায় ছয় ও পাটুরিয়ায় দুই কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ। ঘাটগুলো লো-ওয়াটার, মিড-ওয়াটার ও হাই-ওয়াটার লেভেলে স্থাপন করা হবে। আট কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষায় ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮০ কোটি টাকা। নদীর তীর রক্ষার কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ফেরিঘাট স্থাপনের কাজ করবে বিআইডব্লিউটিএ। প্রকল্পটির অনুমোদন পাওয়ার পর ফেরিঘাট স্থাপন ও নদী তীর রক্ষার কাজ দ্রুত শুরু হবে।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার ভাঙনকবলিত ঘাটগুলোর ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা) অনল চন্দ্র দাস কমিটির আহ্বায়ক, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মোতাহার হোসেন, আইডব্লিউএম, সিইজিআইএস ও বিআইডব্লিউটিএর প্রতিনিধি কমিটির সদস্য।

সভায় জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও এর সংলগ্ন অংশের প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং ফেরিঘাটগুলো পুনর্নির্মাণের লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে প্রায় ১১ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে।

উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিএ এ বছর দৌলতদিয়ায় ফেরিঘাট রক্ষায় ৫২ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে তিন কোটি টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ বছরের জুনে ৪২ হাজার ও অক্টোবরে ১ লাখ ১০ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি টাকা। ওই এলাকায় নদীর তীর রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন