সিলেট ও ঢাকা মেট্রোর দিন

সাদমানের ডাবলের আক্ষেপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আগের দিন ১৬২ রান করে ডাবল সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন ঢাকা মেট্রোর সাদমান ইসলাম। তবে এদিন ১৭৮ রানে আউট হয়ে ফিরে গেলে ভেঙে যায় সাদমানের স্বপ্ন। তার পরও অবশ্য ভালো অবস্থানে আছে মেট্রো। বোলারদের নৈপুণ্যে চট্টগ্রামকে ফলোঅন করায় তারা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এখন মেট্রোর হাতেই। আগের দিন ৬০০ উইকেটের মাইলফলক গড়া অভিজ্ঞ স্পিনার আবদুর রাজ্জাক এদিনও দারুণ বল করেন। তার বোলিংয়ে রংপুরের বিপক্ষে এখন এগিয়ে খুলনা। ভালো অবস্থানে সিলেট ও ঢাকা।

রাজশাহীকে ২৩০ রানে আটকে প্রথম স্তরের ম্যাচে আগের দিনই ভালো অবস্থানে ছিল ঢাকা। জবাব দিতে নেমেও ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখান ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। কক্সবাজারে ঢাকা দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ২৮৪ রানে। শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। দলীয় ৩৩ রানে সানজামুল ফিরিয়ে দেন আবদুল মজিদকে। ২৮ রান করা সাঈফ হাসানও (৪৫) ফেরেন দ্রুত। বেশিদূর যেতে পারেননি জয়রাজ শেখও (২১)। দলীয় ১০৪ রানে রাকিবুল হাসানও (২৯) ফিরে গেলে বিপদে পড়ে ঢাকা। এরপর দারুণ ব্যাটিংয়ে রাজশাহীকে নিরাশ করতে থাকেন তাইবুর রহমান ও শুভাগত হোম। এ দুজন অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন ২৮৪ রানে। তাইবুর ৯৩ ও শুভাগত ৯২ রানে অপরাজিত।

মিরপুরে একই স্তরের ম্যাচে ফের দেখা মিলেছে আবদুর রাজ্জাকের ঘূর্ণি জাদুর। অবশ্য রংপুরের ২২৪ রানের জবাবে ২৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের বিপর্যয়ে রংপুর। মাত্র ৬৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় তারা। এ চার উইকেটের তিনটিই রাজ্জাকে। প্রথম ইনিংসে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক গড়ার পথে তিনি নেন ৭ উইকেট। ৬ উইকেট হাতে রেখে এখন ৫৮ রানে এগিয়ে আছে রংপুর।

দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে বরিশালকে ভালোই চাপে রেখেছে সিলেট। প্রথম ইনিংসে বরিশালের করা ১৬২ রানের জবাবে ৩২২ রান করে সিলেট। পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানেই ১ উইকেট হারিয়েছে বরিশাল। তারা পিছিয়ে আছে ১৪৮ রানে।

দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে ঘরের মাঠেই বিপর্যয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ। ঢাকার বিপক্ষে ইনিংস হার এড়াতে এখনো চট্টগ্রামের প্রয়োজন ২১৬ রান। সাদমানের ১৭৮ রানে ভর করে ৪০৩ রান করে মেট্রো। জবাবে তাসকিন আহমেদ ও শরিফউল্লার বোলিং তোপে মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। তাসকিন তিনটি ও শরিফউল্লাহ নেন চার উইকেট। সাদিকুর রহমান করেন সর্বোচ্চ ২২ রান। এরপর ফলোঅন করতে নেমে আবার বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। মাত্র ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পরের পিনাক ঘোষের অপরাজিত ৫৫ রানে ধাক্কা কিছুটা সামাল দেয় চট্টগ্রাম। স্বাগতিকরা দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৯৬ রানে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন