সিএমএ পেশার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আইসিএমএবিতে কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) আয়োজনেপ্র্যাকটিসিং অপরচুনিটিজ ফর সিএমএ- প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনস্টিটিউটের রুহুল কুদ্দুস অডিটোরিয়ামে গতকাল সন্ধ্যায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার এবং আইসিএমএবির ট্রেজারার অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা এফসিএমএ। আলোচক হিসেবে অংশ নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং আইসিএমএবির সেক্রেটারি ড. আব্দুর রহমান খান এফসিএমএ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইসিএমএবির সেমিনার এবং কনফারেন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. কাওসার আলম। কর্মশালায় বাণিজ্য সচিব আইসিএমএবিএমপ্লয়মেন্ট গেটওয়ে এবং কস্ট অ্যাকাউন্ট সিস্টেমের তৃতীয় খণ্ডের উদ্বোধন করেন।

আইসিএমএবির সভাপতি এম আবুল কালাম মজুমদার এফসিএমএ তার স্বাগত বক্তব্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোয় সিএমএ পেশাদারদের অবদান ও কাজের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, তারা কেবল দেশেই নয়, বরং দেশের বাইরেও নিজেদের কাজের মাধ্যমে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। কস্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট পেশাদারদের দক্ষতার বিষয়ে উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, অ্যান্টি ডাম্পিংয়ের মতো বিভিন্ন সমস্যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সময়োপযোগী সহায়তা করতে পারবেন সিএমএ পেশাদাররা। রেডিমেড গার্মেন্টস, ফার্মাসিউটিক্যাল, আবাসন, সিরামিক, ফুটওয়্যারসহ সব পর্যায়ের খাতে কস্ট অডিট বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় অর্থনীতিতে এটি উন্নয়নমূলক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা এফসিএমএ তার উপস্থাপিত প্রবন্ধে সিএমএ পেশার গুরুত্ব বিষয়ে সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন। বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রার সাপেক্ষে এ পেশার বর্তমান পরিস্থিতি, সম্ভাবনা এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। ড. আব্দুর রহমান খান এফসিএমএ এই প্রবন্ধের বিষয়ে সংক্ষেপে তার মতামত তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন সব খাতে ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সিএমএ পেশাদাররা দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবেন। একই সঙ্গে অ্যান্টি ডাম্পিংয়ের মতো জটিল সমস্যাগুলোতেও তারা পেশাদারি দক্ষতার মাধ্যমে সহায়তামূলক ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে আইসিএমএবির সাবেক সভাপতি, কাউন্সিল সদস্য, সদস্য ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন