দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় ভবন

পাঠদান চলছে পরিত্যক্ত বাড়ির বারান্দায়

বণিক বার্তা প্রতিনিধি যশোর

বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রামনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। এরপর ভবনটি আর সংস্কার করা হয়নি। এতে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রামনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালে। এ বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ২১৫ জন। ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়ের জন্য তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। দুই বছর আগে বন্যার পানিতে ভবনটি তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে ভবনের পলেস্তারা খসে পড়তে থাকে। চলতি বছরের এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ভবনটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বিষয়টি উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ কারণে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমানের পরিত্যক্ত বাড়ির বারান্দায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। পরে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কয়েকজন এসে ভবন পরিদর্শন করেন। তবে ভবনটি আর পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়নি।

প্রধান শিক্ষক ফাতিমা বেগম বলেন, বিদ্যালয় ভবনে পলেস্তারা খসে পড়ে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে। তাই আজিজুর রহমানের পরিত্যক্ত বাড়ির বারান্দায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি শরিফুল ইসলাম শাহিন বলেন, চলতি বছরের নতুন ভবনের তালিকায় নাম না থাকলেও আগামী বছরের তালিকায় বিদ্যালয়ের নাম থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত গাউছুল আজম বলেন, ওই বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করাসহ নতুন ভবনের জন্য কাগজপত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এখন কী অবস্থায় আছে তা আমি জানি না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেহেলী ফেরদৌস বলেন, ওই বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি সামনের বছরে বরাদ্দ মিলবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন