এশিয়ার বাজারে দাম কমেছে এলএনজির

বণিক বার্তা ডেস্ক

এশিয়ার বাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ বাড়ছে, যার প্রভাব পড়েছে জ্বালানি পণ্যটির দামে। বর্তমানে বাজারে বাড়তি সরবরাহ থাকায় এবং আগামীতেও সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনায় সপ্তাহে এলএনজির দাম কমতির দিকে রয়েছে। খবর রয়টার্স। 

ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় চলতি সপ্তাহে এলএনজির দাম ৪০ সেন্ট কমে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের দাম দাঁড়িয়েছে ডলার ৯০ সেন্ট। এর ফলে এলএনজির বাজার চাঙ্গা হওয়ার অপেক্ষায় থাকা কার্গোগুলো এখন কার্যত দাম বৃদ্ধির প্রত্যাশা ছেড়ে দিয়েছে। কারণ চলতি মাসে এশিয়ার বাজারে এলএনজির সরবরাহ আরো বৃদ্ধি পাবে।

খাতসংশ্লিষ্ট এক ব্যবসায়ী জানান, সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দামের ওপর চাপ তৈরি করবে। সাধারণত নভেম্বর মাসের সঙ্গে আগের মাসগুলোর দামের যে পার্থক্য থাকে। এখন ডিসেম্বর মাসের সঙ্গে নভেম্বরের দামের সে পার্থক্যটা খুব বেশি না। ফলে দাম বৃদ্ধির আশায় কার্গোগুলো ধরে রাখা আর উচিত হবে না বলে মনে করেন ব্যবসায়ী।

ব্যবসায়ীর মতো, বাজার চাঙ্গা হওয়ার অপেক্ষায় থাকা অনেকগুলো কার্গো এরই মধ্যে তাদের এলএনজি বাজারজাত করেছে। এর মধ্যে ভারত, জাপান, গ্রিস, পোল্যান্ড, স্পেন নেদারল্যান্ডসে সপ্তাহে অনেকগুলো কার্গো এলএনজি সরবরাহ করেছে। তবে সবচেয়ে বেশি এলএনজি ধারণ সম্পন্ন কয়েকটি কার্গো থেকে এখনো গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়নি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ডায়মন্ড গ্যাস সাকুরা মধ্য আগস্ট থেকে তাইওয়ানের উদ্দেশে যাত্রা  করে। যেটি সপ্তাহে খালাস হওয়ার কথা। এছাড়া অনেকগুলো কার্গো মাসেই গন্তব্য দেশগুলোয় খালাস হওয়ার কথা রয়েছে। তবে অন্তত নয়টি এলএনজি বোঝাই কার্গো এখনো তাদের গন্তব্য স্থির করতে পারেনি। ফলে এসব কার্গো এখন পর্যন্ত উৎপাদক দেশগুলোর সমুদ্রবন্দরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব এলএনজি বাজারে সরবরাহ শুরু হলে দাম আরো কমতে পারে। এরই মধ্যে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে ডলারের কমে এলএনজি কয়েকটি ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ার শাখালিন-, ১১ ডিসেম্বরের সরবরাহের চুক্তিতে এলএনজির কার্গো প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট ডলারের নিচে বিক্রি করেছে। এছাড়া জাপানের তোহোকু বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যও ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে একই দামে এলএনজি ক্রয় করা হয়েছে।

এদিকে বাড়তি সরবরাহের ফলে এশিয়ার বাজারে এলএনজির চাহিদা স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে কোরিয়া গ্যাস করপোরেশনের (কোওজিএএস) বর্তমানে এলএনজির পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। যে কারণে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি ছাড়া দেশটিতে আর এলএনজি ক্রয়ের সম্ভাবনা নেই। একইভাবে অন্যতম ভোক্তা দেশ চীনেও বাকি মাসগুলোতে এলএনজির চাহিদা ১৪-১৭ শতাংশের মধ্যে থাকবে। যেখানে গত বছর একই সময়ে চাহিদা ছিল ৪১-৪২ শতাংশের মধ্যে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন