৮ খাতে ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহারের পরিকল্পনা হুয়াওয়ের

বণিক বার্তা ডেস্ক

পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার হাতে পৌঁছে দেয়ার পুরো সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা, খনি বন্দর পরিচালনাসহ আটটি খাতে ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের পরিকল্পপনা সামনে এনেছে চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ে। এর মধ্য দিয়ে একদিকে বিশ্বব্যাপী পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কের বিস্তার ঘটবে, অন্যদিকে উৎপাদন খাত ব্যবসায় অটোমেশন প্রক্রিয়ার পথে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্স ফরচুন।

ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহার নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে। এতে বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্বব্যাপী অটোমেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের বাজারের আকার ছিল ১৫ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার। ২০২৫ সাল নাগাদ এর পরিমাণ আরো বেড়ে ৩০ হাজার ১১০ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে। ক্রমবর্ধমান বাজার দখলের জন্য বিশ্বের শিল্প-কারখানা নির্মাতাদের ৭৯ শতাংশই নিজেদের প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা উন্নয়নে উৎপাদন বাড়াতে ফাইভজিনির্ভর কারখানায় বিনিয়োগের পরিকল্পনা এগিয়ে নেবেন। ফলে ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহারের পথ বর্তমানের তুলনায় আরো বেশি উন্মুক্ত হবে।

এজন্য হুয়াওয়ে আটটি খাতে ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহার বিকাশের পরিকল্পনা সামনে এনেছে। খাতগুলো হলো: পণ্যের গুণগত মান বাড়াতে স্মার্ট কারখানার জন্য ক্লাউড পর্যবেক্ষণ, খনি বন্দরের জন্য ক্লাউড পরিচালনা, নিরাপদ সড়ক সেতুর জন্য ক্লাউড ভিডিও, আধুনিক গুদাম নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্তঃমেশিন নেটওয়ার্কিং, ক্লাউড গেমিং, ক্লাউড ভিআর, ৪কে কিংবা ৮কে ভিডিও এবং ক্লাউড থেকে সরাসরি সম্প্রচারের সুবিধা দেয়া।

হুয়াওয়ে জানিয়েছে, শিল্প-কারখানায় ব্যবহার হওয়া ক্লাউডভিত্তিক যন্ত্রগুলো উৎপাদিত পণ্যের ত্রুটি শনাক্ত করবে। ফলে উৎপাদন পর্যায়ে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে। রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ৩০ শতাংশ কমার পাশাপাশি যন্ত্র বিকল হওয়ার সম্ভাবনাও ৭০ শতাংশ কমে আসবে। যেকোনো খনি কিংবা বন্দরে ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি একই সময়ে চার-ছয়টি ক্রেন পরিচালনা করতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন