স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য রাজধানীর জোয়ার সাহারায় ২১১ শতক জমি কিনেছিল প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড। প্রায় ৮৬ কোটি টাকায় কেনা এ জমির অর্ধেক অধিগ্রহণ করেছে সরকার। পুরো জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলে না থাকলেও প্রাইমএশিয়া ফাউন্ডেশনের নামে ঋণ সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। আবার ফাউন্ডেশনের ৯০ কোটি টাকা স্থানান্তর হয়েছে ব্যক্তির হিসাবে। স্থানান্তরিত এ টাকা উদ্ধারের সম্ভাবনাও সেভাবে দেখছেন না কেউ। ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ খালেকের নেতৃত্বে এ লুণ্ঠন হলেও দায় নিতে চান না বোর্ডের অন্য সদস্যরা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা
হয় ফাউন্ডেশনের অধীনে। ১৮৮২ সালের ট্রাস্ট আইন দ্বারা গঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
ট্রাস্টি বোর্ড। এ আইনের ৫১ ধারার বিধান অনুযায়ী, ট্রাস্টি নিজের লাভের জন্য কিংবা অন্য
যেকোনো প্রয়োজনে ট্রাস্টের সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারেন না। কিন্তু প্রাইমএশিয়া
ট্রাস্টি বোর্ডের তত্কালীন চেয়ারম্যান এমএ খালেক প্রাইমএশিয়ার ফাউন্ডেশনের অর্থ
ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি স্ত্রী,
ভাগ্নে,
প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, নিজের
কোম্পানিসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে স্থানান্তর করেছেন। স্থানান্তরকৃত
টাকার পরিমাণ ৯০ কোটি ৪৩ লাখ। ২০১০ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত
বিভিন্ন সময়ে এ অর্থ ফাউন্ডেশনের হিসাব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। বিপুল এ অর্থ
স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এমএ খালেক অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রাইমএশিয়া ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব
বেসরকারি খাতের প্রাইম ব্যাংকে। ব্যাংকটির মতিঝিল শাখায় এর হিসাব নং-১০৪১১০৬০০০০৬৫৬।
ফাউন্ডেশনের হিসাব বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, এমএ খালেক বিভিন্ন সময়ে প্রাইমএশিয়া
ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব থেকে নিজের নামে ৬৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা স্থানান্তর করেছেন।
পে-অর্ডারের
মাধ্যমে এক গ্রাহককে দিয়েছেন ২১ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী সাবিহা
খালেক, ভাগ্নে মিজানুর রহমান,
ব্যক্তিগত স্টাফ তাজুল ইসলাম ও পারিবারিক
কোম্পানি ম্যাকসনস বিডি লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা স্থানান্তর
করেছেন। সব মিলিয়ে ২০১০-১৪ সালের মধ্যে এমএ খালেক প্রাইমএশিয়া ফাউন্ডেশনের ব্যাংক
হিসাব থেকে ৯০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা স্থানান্তর করেছেন।
স্থানান্তরকৃত টাকার ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ আরোপ করলে মোট সুদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৯ কোটি টাকা। সুদসহ এমএ খালেকের কাছে ১৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকা দাবি করেছে প্রাইমএশিয়া ফাউন্ডেশন।
এ বিষয়ে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
ট্রেজারার একেএম আশরাফুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, ট্রাস্ট আইনের ৫১ ধারা অনুযায়ী
ট্রাস্টিরা ফাউন্ডেশনের কোনো অর্থ ব্যক্তিগত বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো
প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে স্থানান্তর করতে পারেন না। এমনকি ফাউন্ডেশনে নিজের দেয়া
চাঁদা তোলারও আইনগত বৈধতা নেই। কিন্তু এমএ খালেক প্রাইমএশিয়া ফাউন্ডেশনে যে চাঁদার
টাকা জমা দিয়েছিলেন, তা তুলে নিয়েছেন। ফাউন্ডেশনে থাকা নিজের শেয়ারের টাকাও ব্যক্তিগত
কোম্পানির কাছে স্থানান্তর করেছেন। ট্রাস্টের টাকা ব্যক্তিগত হিসাব, স্ত্রী, ভাগ্নে, কর্মচারীসহ
স্বার্থসংশ্লিষ্ট হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেছেন। জালিয়াতির বিষয়টি ধরা
পড়ার পর ট্রাস্টিদের চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন তিনি। কিন্তু ফাউন্ডেশনের
আত্মসাত্কৃত অর্থ ফেরত দিচ্ছেন না। টাকা ফেরত চেয়ে তাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ফেরত
না দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বেসরকারি খাতের প্রাইম ব্যাংকের
উদ্যোক্তাদের একজন এমএ খালেক। তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্ব পালন
করেছেন। ব্যাংকটির নেতৃস্থানীয় পদে থাকার সুবাদে তিনি প্রাইমএশিয়া ফাউন্ডেশনের
টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে।
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
কর্মকর্তাদের দাবি, তিনজন ট্রাস্টির নামে প্রাইম ব্যাংকে হিসাব খোলা হয়েছিল। ফাউন্ডেশনের
টাকা স্থানান্তর বা উত্তোলনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম দুজনের স্বাক্ষর থাকার কথা। কিন্তু
এমএ খালেক শুধু নিজের স্বাক্ষরেই ফাউন্ডেশন থেকে বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে নিয়েছেন।
এক্ষেত্রে ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও গাফিলতি ছিল।
ট্রাস্টের সম্পদ ট্রাস্টির ব্যাংক
হিসাবের অনুকূলে স্থানান্তর কিংবা ট্রাস্টকৃত সম্পদ থেকে ট্রাস্টি কোনোভাবেই
উপকারভোগী হতে পারেন না বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন
খান। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সম্পদ থেকে ট্রাস্টি
বোর্ডের সদস্যদের লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই। এ ধরনের যেকোনো ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী
ক্যাম্পাসের জন্য জমি কেনার ক্ষেত্রেও অস্বচ্ছতার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। রাজধানীর
জোয়ার সাহারা মৌজায় ৩০০ ফুট রাস্তার পাশে ২১১ শতক জমির দলিলমূল্য দেখানো হয়েছে ৯
কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু পরিশোধ দেখানো হয়েছে ৮৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যদিও
আইনে ফাউন্ডেশনের নামে কেনা জমির মূল্য কম দেখানোর সুযোগ নেই। এর মাধ্যমে সরকারের
রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খানের মতে, প্রাইমএশিয়া
ফাউন্ডেশন যদি বেশি মূল্যে জমি কিনে কম মূল্যে রেজিস্ট্রেশন করে, সেক্ষেত্রে
সরকারের কর ফাঁকি দেয়ার অপরাধ করেছে। আবার জমির মূল্য কম দেখালে সেক্ষেত্রে
ফাউন্ডেশনের ব্যালান্সশিটেও মিথ্যা তথ্য দিতে হয়েছে। যদি তা না হয়, তাহলে
বুঝতে হবে, ট্রাস্টি মূল্য বেশি দেখিয়ে ফাউন্ডেশনের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সব
ক্ষেত্রেই এ ধরনের কর্মকাণ্ড শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য।
তবে ফাউন্ডেশনের অর্থ লোপাটের জন্য
এমএ খালেক জমির মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কয়েক গুণ বেশি দামে চুক্তি করেন বলে অভিযোগ
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার একেএম আশরাফুল
হক বলেন, ফাউন্ডেশনের সব
ব্যয় নিরীক্ষা হয়। দেশের আইন অনুযায়ী,
ফাউন্ডেশনের নামে কেনা জমি প্রকৃত মূল্যের চেয়ে
কম মূল্য দেখিয়ে নিবন্ধন করার সুযোগ নেই। এটি সরাসরি আইনের লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য
অপরাধ। তাই আমরা ধরে নিচ্ছি,
দলিলমূল্যই জমির প্রকৃত ক্রয় মূল্য।
এদিকে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য কেনা ২১১ শতাংশ জমির মধ্যে ৯৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ এরই মধ্যে
সরকার নিয়ে গেছে। খাল কাটা ও রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য এ জমি অধিগ্রহণ করেছে
সরকার। বাকি জমির দুই পাশে পুলিশের আবাসন প্রকল্পের জন্য বালি ফেলে প্লট নির্মাণ
করা হয়েছে। এ হিসেবে ওই জমিতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস
নির্মাণ নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
এর মধ্যেই প্রাইমএশিয়া ফাউন্ডেশন ও
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে শতকোটি টাকা ঋণ সৃষ্টি হয়েছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে। সুদসহ
এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। এমএ খালেকের কাছ থেকে টাকা আদায়
করতে না পারলে ব্যাংকঋণের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিপর্যয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন
সংশ্লিষ্টরা।
আত্মসাত্কৃত টাকা ফেরত দেয়ার কথা
জানাতে সম্প্রতি এমএ খালেকের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার আবুল কাশেম মোল্লা। এ বিষয়ে আবুল
কাশেম মোল্লা বলেন, আমরা ফাউন্ডেশনের আত্মসাত্কৃত টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানিয়েছি। তিনি অভিযোগগুলো
অস্বীকার করেছেন। তবে প্রাইমএশিয়া ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের যেকোনো সিদ্ধান্ত
এমএ খালেক নিতেন। এ হিসেবে ফাউন্ডেশনের অর্থের অপব্যয় ও অপচয়ের দায়ভারও তার।
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ভালো চলছে। তবে অর্থের সংকট
বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিকে টেনে ধরছে।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের
পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন এমএ খালেক। একই বছরের ১০ ডিসেম্বর ট্রাস্টি বোর্ডের
১৭তম সভায় পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। সে সভায় প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি
বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মো.
নজরুল ইসলাম।
জানতে চাইলে মো. নজরুল
ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, এমএ খালেক ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে এসব অনিয়মের আশ্রয়
নিয়েছেন। প্রাইমএশিয়া ফাউন্ডেশন ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন, তা
ফেরত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এমএ খালেক ৫৯ কোটি টাকা নেয়ার কথা স্বীকারও করেছেন।
কূটবুদ্ধির জোরে এমএ খালেক শত শত কোটি টাকা বের করে নিয়েছেন। তিনি যেসব
প্রতিষ্ঠানে বসে অফিস করতেন,
সেখানে কেউ যেতে পারত না। ট্রাস্টি বোর্ডের
আনুষ্ঠানিক কোনো সভাও হতো না।
প্রাইমএশিয়া ফাউন্ডেশনের আয় ও ব্যয়ের
বিস্তারিত নিরীক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয় একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ফার্মকে।
আগামী সপ্তাহেই সে নিরীক্ষা প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।
নিরীক্ষা প্রতিবেদন হাতে এলে এমএ খালেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে
নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেসরকারি প্রাইম ব্যাংকের
প্রতিষ্ঠাতাদের একজন এমএ খালেক ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব
পদেই বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। যদিও এখন ব্যাংকটিতে তার কোনো অংশীদারিত্ব
নেই। প্রাইম ব্যাংক ছাড়াও এমএ খালেক প্রাইম ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট
লিমিটেড, প্রাইম ফিন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, প্রাইম
ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড,
প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, প্রাইম
ইসলামী সিকিউরিটিজ লিমিটেড,
প্রাইম প্রুডেনশিয়াল ফান্ড লিমিটেড, প্রাইম
ফিন্যান্সিয়াল সিকিউরিটিজ লিমিটেড,
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি
লিমিটেড, ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ফারইস্ট
স্টক অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেড ও পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের মূল উদ্যোক্তাদের
অন্যতম। এছাড়া গ্যাটকো লিমিটেড,
গ্যাটকো অ্যাগ্রো ভিশন লিমিটেড, গ্যাটকো
টেলিকমিউনিকেশনস লিমিটেড, এইচআরসি টেকনোলজিস লিমিটেড,
প্রাইম প্রপার্টি হোল্ডিংস লিমিটেড, পিএফআই
প্রপার্টিজ লিমিটেডেও ছিলেন তিনি। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরে এমএ খালেকের পারিবারিক
প্রতিষ্ঠানের নাম ম্যাকসনস গ্রুপ।
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে
বক্তব্য জানতে এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করেও এমএ খালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব
হয়নি। তার ব্যবহূত দুটি সেলফোনই বন্ধ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ গতকাল বিকালে এমএ
খালেকের ব্যক্তিগত গাড়িচালক বাবুল মিয়াকে ফোন করে এমএ খালেকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে
অন্য এক ব্যক্তিকে ফোন ধরিয়ে দেন তিনি। ওই ব্যক্তি প্রতিবেদকের কাছ থেকে বিস্তারিত
জানার পর এমএ খালেককে বিষয়টি অবহিত করবেন বলে জানান। রাতে বাবুল মিয়াকে আবারো ফোন
দিলে তিনি বলেন, স্যারকে খুঁজে পাইনি।
উল্লেখ্য, প্রাইমএশিয়া
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৩ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে
চার হাজার। ১২টি বিভাগে ২৫০ জন শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ৫০০ জন।