সাম্প্রতিক সময়টা একেবারেই বাংলাদেশের
অনুকূলে নয়। দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের হারিয়ে খর্ব শক্তির এক দল নিয়ে শক্তিশালী
ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ভারত এ মুহূর্তে ক্রিকেট বিশ্বের সেরা
দলগুলোর একটি। দলের খেলোয়াড়রাও আছে ফর্মের তুঙ্গে। তার ওপর খেলা যদি হয় নিজেদের
মাঠে, তবে ভারতের শক্তি যেন আরো বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও
জাসপ্রিত বুমরাহর মতো তারকা খেলোয়াড়রা না থাকলেও এ সিরিজে নিঃসন্দেহে ফেভারিট
হিসেবেই মাঠে নামবে ভারত। তবে শক্তি ও পরিসংখ্যানে এগিয়ে থেকেও বাংলাদেশকে মোটেই
হালকাভাবে নিচ্ছেন না ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট সমীহর চোখেই
দেখছেন তিনি।
ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ‘বাংলাদেশ
খুব ভালো দল। এই সময়ের মধ্যে আমরা দেখেছি তারা কত ভালো পারফর্ম করতে পারে। কেবল
ঘরেই নয়, দেশের বাইরেও তারা ভালো খেলে। বিশেষ করে আমাদের বিপক্ষে তারা সবসময় চাপ
সৃষ্টি করে। তাই এ দলকে ভিন্নভাবে দেখার কোনো কারণ নেই।’
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল দলে
নেই। তার পরও বাংলাদেশের তরুণ খেলোয়াড়রা ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রাখে বলে মনে করেন
রোহিত, ‘আমি বুঝতে পারি তাদের দুজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দলে নেই। কিন্তু তাদের
দলে এখনো এমন খেলোয়াড় আছে, যারা নিজেদের দিনে যে কাউকে হারাতে পারে। তাদের খেলোয়াড়রা বেশ পরিণত, তারা
অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে খেলছে।’
রোহিত বেশি মনোযোগ দিতে চান নিজেদের
ওপর, ‘আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রতিপক্ষের ওপর বেশি মনোযোগ না দিয়ে
দল হিসেবে আমরা কী করতে পারি,
তার ওপর গুরুত্ব দেয়া। আমাদের দলও তারুণ্যে গড়া
এবং অনেকেই চায় তারা কী করতে পারে,
সেটা দেখাতে।’
টস জিতলে আগে ব্যাটিং করতে পারেন তেমন
ইঙ্গিতও দিয়েছেন রোহিত। নিজেদের পরীক্ষা
করতে চাওয়ার মানসিকতা থেকেই রোহিতের এমন সিদ্ধান্ত, ‘আমরা কঠিন পিচে
টার্গেট দিয়ে সেটা ডিফেন্ড করতে চাই। আমরা দেখাতে চাই অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলার
জন্য আমরা সব দিক থেকে প্রস্তুত। এসব করার জন্য এটাই উপযুক্ত সময়। আমরা ম্যাচটাও
জিততে চাই। জয় সবসময় অগ্রাধিকার পাবে। টি২০-তে আমাদের পারফরম্যান্স খুব ভালো নয়।
আমরা তিন ফরম্যাটেই শীর্ষে থাকতে চাই।’
অবশ্য রোহিতরা নিজেদের পরীক্ষায় ফেলতে
গিয়ে ঝুঁকি নিতে গেলে, সেটিই সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে বাংলাদেশের জন্য। তাই ভারতের মতো
দলের বিপক্ষে সব ধরনের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের।