জাতীয় দলের একাংশ ক্লাব কাপ শেষ করলেন, আরেকাংশ
বিশ্রামে ছিলেন। পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি উপভোগ করছেন প্রধান কোচ জেমি ডে।
ছুটিতে বিদেশী কোচিং স্টাফরাও। লেভান্তে-বার্সেলোনা ম্যাচের ধারাবিবরণী দিতে স্পেনে ছুটে গিয়েছিলেন অধিনায়ক
জামাল ভূঁইয়া। আগামীকাল সবাই ওমানের মাসকাটে একত্রিত হচ্ছেন।
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে
বাংলাদেশের পরবর্তী প্রতিপক্ষ ওমান। ১৪ নভেম্বরের ওই লড়াইয়ের জন্য আজ রাতে ঢাকা
ছাড়বে বাংলাদেশ দল। জেমি ডে,
জামাল ভূঁইয়া ও ছুটিতে থাকা কোচিং স্টাফরা ওমানে
আগামীকাল দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
ম্যাচের আগ পর্যন্ত সেখানে অনুশীলনের
পাশাপাশি একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। ৯ নভেম্বর প্রস্তুতি ম্যাচের
প্রতিপক্ষ ঠিক হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ
জানালেন, ওমান শীর্ষ লিগের কোনো ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে দল।
তিন ম্যাচে জয়শূন্য বাংলাদেশ ১ পয়েন্ট
নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের তলানিতে আছে। চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে
কাতার। তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করা ওমান আছে দ্বিতীয় স্থানে। পরের দুটি স্থানে
আছে আফগানিস্তান (৩ পয়েন্ট) ও ভারত (২ পয়েন্ট)। গ্রুপের
অবস্থান ও প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা ভুলে এ ম্যাচেও লড়াইয়ের প্রত্যয় ছিল বাংলাদেশ
গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার কণ্ঠে।
‘গত কয়েক ম্যাচের কারণে জাতীয় দলকে ঘিরে প্রত্যাশা বেড়েছে। তা আমাদের
উদ্দীপ্ত করছে। আমরা হারের জন্য ওমান যাচ্ছি না। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা আরেকটি
ভালো ম্যাচ খেলব’—গতকাল বলছিলেন বাংলাদেশ দলের এক নম্বর গোলরক্ষক। তিনি আরো বলেন, ‘ওমানের
সঙ্গে তুলনা করতে গেলে কাতারকে এগিয়ে রাখতে হবে। কাতারের বিপক্ষে ম্যাচটা আমরা
ঘরের মাঠে খেলেছি। পরবর্তী ম্যাচ খেলতে হবে ওমানে গিয়ে। এ ম্যাচে আমাদের বেশি
প্রতিকূলতা পোহাতে হবে। আমরা সে প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছি।’
ভারতের বিপক্ষে ড্র করা ম্যাচের
স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন উইঙ্গার জুয়েল রানা। তার জায়গায় রাকিব হুসাইনকে দলে
নিয়েছেন জেমি। লেফটব্যাক ইয়াসিন আরাফাত অনূর্ধ্ব-১৮ দলের সঙ্গে বাহরাইন যাচ্ছেন। এএফসি
অনূর্ধ্ব-১৮ বাছাই শেষে ১১ নভেম্বর ওমানে জাতীয় দলে যোগ দেবেন এ ফুলব্যাক।
ভারত ম্যাচের পর ফুটবলাররা বিশ্রামে
ছিলেন। সদ্য সমাপ্ত ক্লাব কাপে বসুন্ধরা কিংস ও চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে অনেক
ফুটবলার খেলেছেন। তার বাইরে ঢাকা আবাহনী ও শেখ রাসেলের ফুটবলাররা ক্লাবের অনুশীলনে
ছিলেন। দলের সদস্যদের ফিটনেস সম্পর্কে আশরাফুল বলেন, ‘কোচ যাওয়ার আগে
আমাদের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরা তা অনুসরণ করেছি। কোচের দেয়া খাদ্যতালিকাও
অনুসরণ করেছি। যাতে ওমানে গিয়ে ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে না হয়।’
পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ সহকারী
কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সার বলেছেন,
‘ওমান শক্তিশালী দল। আমরা যদি বলি ওই ম্যাচে জয়
পাব, ওটা
হবে দুরূহ। আমাদের দলটা না হারার মানসিকতা নিয়ে খেলে। ভারত থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে
ফিরেছে দল। আশা করছি, আরেকটি ভালো ম্যাচ উপহার দিতে পারব।’
নিজ দল সম্পর্কে এ কোচ বলেছেন, ‘আমরা
তিন ম্যাচে চার গোল হজম করেছি;
যার দুটি সেটপিস থেকে। এ নিয়ে আমরা নিজেদের
মধ্যে কথা বলেছি। সেটপিস ও প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগানোর বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।
তাছাড়া বল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর আমরা দ্রুতই তা হারাচ্ছি। এ নিয়েও কাজ করার সুযোগ
রয়েছে।’
ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার
সত্যজিৎ দাস রূপু বলেছেন, ‘ওমান র্যাংকিংয়ে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। ওমানের বিপক্ষে বিগত ম্যাচগুলোর
মতোই খেলব। শুরুতে গোল হজম না করলে আমরা আরেকটি লড়াকু ম্যাচ খেলব বলে আশা করছি।’