বাথের অতি মূল্যায়নে বিপাকে থাইল্যান্ডের চাল রফতানিকারকরা

বণিক বার্তা ডেস্ক

কয়েক বছর ধরে ডলারের বিপরীতে থাই মুদ্রা বাথ শক্তিশালী হচ্ছে। এতে দেশটি থেকে চাল রফতানিতে কম অর্থ পাওয়া যাচ্ছে যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীদের। একই কারণে দেশটির চাল রফতানিও কমতির দিকে রয়েছে। সব মিলিয়ে বাথের অতি মূল্যায়নে বিপাকে পড়েছে দেশটির চাল রফতানিকারকরা। খবর ব্লুমবার্গ ব্যাংকক পোস্ট।

বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক থাইল্যান্ড। কিন্তু চলতি বছর বাথের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে চাল রফতানি থেকে দেশটির আয় থেকে হাজার কোটি বাথ কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশটির চাল রফতানি কমে ৮০ থেকে ৮১ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। যেখানে গত বছর রফতানি ছিল কোটি ১২ লাখ টন। বিশেষ করে আফ্রিকার বাজারে দেশটির চাল রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমতে পারে। কারণ খাদ্যপণ্যটির বাড়তি মজুদ থাকায় থাইল্যান্ডের তুলনায় আফ্রিকার বাজারে কম মূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল সরবরাহ করছে চীন।

অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে থাইল্যান্ড থেকে চাল রফতানি ২৮ দশমিক শতাংশ কমেছে। সময় দেশটি থেকে ৫৯ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় থাইল্যান্ডের মুদ্রার মান শতাংশের বেশি বেড়েছে। থাই রাইস এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতি টন সাদা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২৫ ডলারে। যেখানে গত বছর প্রতি টন মানের চালের দাম ছিল ৩৮০ ডলারের মতো। এছাড়া থাইল্যান্ডের প্রতি টন চালের মূল্য ভারত, ভিয়েতনাম, চীনের চেয়েও ৫০ ডলার বেশি। ফলে কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে রফতানিকারকদের। কিন্তু দামে চাল কিনে রফতানি থেকে আয় বাড়াতে পারছেন না তারা।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চোকায়েত ওপাহাসওয়াং বলেন, চাল রফতানি এখন খারাপ অবস্থায় আছে। বাথের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় স্থানীয় খাদ্যশস্যের খরচ বেশি হচ্ছে।

বাথের শক্তিশালী অবস্থানের কথা উল্লেখ করে চোকায়েত বলেন, এটা (বাথের শক্তিশালী অবস্থান) আমাদের জন্য বড় ক্ষতি করছে। অবস্থায় ঠিক কী করতে হবে, আমরা তা বুঝতে পারছি না। আমরা এখন ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষায় আছি। সেটা না হলে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিতে পারেন বলেও মনে করেন তিনি।

সাধারণত প্রতি বছর এক কোটি টন চাল রফতানি করে থাইল্যান্ড। যার অর্ধেকেরও বেশি রফতানি হয় সাদা চাল। কিন্তু চলতি বছর সাদা চালের রফতানিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমবে বলে জানিয়েছেন চোকায়েত। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটি থেকে সাদা চালের রফতানি ছিল ৫৪ লাখ ৯০ হাজার টনের মতো। কিন্তু চলতি বছর জাতীয় চালের রফতানি ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। সময় দেশটির সাদা চাল রফতানি ৩০ লাখ টনের মতো হতে পারে। যেখানে চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রাক্কলন প্রতিবেদনে, বছর শেষে চাল রফতানির লক্ষ্য ৯৫ থেকে কমিয়ে ৯০ লাখ টনের পূর্বাভাস দেয়া হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বছর থাইল্যান্ড থেকে ৩৯ লাখ টন সাদা চাল, ২৮ লাখ সিদ্ধ, ১৩ লাখ টন হোমালি, ছয় লাখ টন সুগন্ধি চার লাখ টন আঠালো চাল রফতানি করবে থাইল্যান্ড।

অন্যদিকে প্রধান চাল আমদানিকারক দেশগুলোও খাদ্যপণ্যটির ক্রয়ে তাদের নীতি পরিবর্তন করছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষ চাল আমদানিকারক দেশ ফিলিপাইনে অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি হচ্ছে। ফলে দেশটির সরকার এখন চাল আমদানিতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা বাড়াতে পদক্ষেপ নিচ্ছে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন