জার্মানির অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে ‘অধিক ব্যয় নীতি’ গ্রহণ করা উচিত?

ইউরোজোনের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানি ইতোমধ্যে মন্দা অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ নিয়ে চলছে নানান আলোচনা- বার্লিনের আর্থিক ব্যয় আরো বাড়িয়ে অর্থনৈতিক ট্যাপ খোলা উচিত কিনা কিংবা এখন এমন কোন প্রকল্প নেয়া উচিত কিনা- যেখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় বাড়ানো হবে? অথবা বাজেটে ভারসাম্য আনয়নের জন্য সরকারের কি এমন কোন নীতি গ্রহণ করা উচিত- যেটা ‘দ্যা ব্লাক জিরো’ কিংবা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি সীমাবদ্ধতা সম্পর্কিত ‘ডেবথ ব্রেক’ নামে পরিচিত হবে?

এ নিয়ে একটি বিশ্লেষণ লিখেছেন বিবিসির অর্থনীতির প্রতিবেদক এন্ডু ওয়াকার। বণিক বার্তার পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হল।

এ বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে (তৃতীয় কোয়াটার) ইউরোজোন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান থেকে ০ দশমিক ২ শতাংশ জার্মানির অর্থনৈতিক মন্দা আমাদের তাদের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে কিছু বার্তা প্রদান করে। এখনি এটা অনেকটাই মন্দা ভাব নিতে শুরু করেছে, যদিওবা অনেক অর্থনীতিবিদের ধারণার চেয়ে এখনো ভালো অবস্থায় আছে। এই একই সময়ে জার্মানির অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে মূল্যায়নের জন্য আমাদের আরো দু’সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করতে হতে পারে। পুরো ইউরোজোন জুড়ে হয়তো অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে না, কিন্তু জার্মানির এই অর্থনৈতিক মন্দা নিশ্চিতভাবে তার প্রতিবেশি দেশগুলোতে প্রভাব ফেলবে। পরিস্থিতি বিচেনায় নীতিনির্ধারকদের নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে- বিশেষকরে, জার্মান সরকার ও ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) ভূমিকা নিয়ে। ইসিবি ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এই সংস্থা তাদের সুদের হার অতি নিম্ন স্তরে নামিয়ে এনেছে। যেটা এর মূল হারের শূন্যের নিচে। এবং এই সংস্থা তাদের পলিসি নতুন করে শুরু করার ব্যাপারে চিন্তা করছে, যেখানে- আর্থিক সম্পদ ক্রয় ও  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৌশলী ভূমিকায় অভ্যন্তরীণ অর্থের যোগান বাড়ানোর (কোয়ান্টেটিটিভ এজিং) মাধ্যমে নতুন অর্থ সংস্থান হবে। কিন্ত এই পদ্ধতিগুলো কার্যকর কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারবে কিনা তা নিয়ে সত্যিকারার্থে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে ধরণের আর্থিক নীতি গ্রহন করে থাকে সেটা ইউরোজোনের জন্য যতেষ্ট। এখানে সরকারের অনেককিছু করার আছে, এমন মনে করেও অনেকে বিতর্ক করছে। 

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন