আগামী বছরের মার্চ থেকে বছরব্যাপী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের অতিথিরা বাংলাদেশে আসবেন। এই কারণে আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে বিদেশী অতিথিদের আমন্ত্রণ জানাবে না দলটি।
শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অভ্যর্থনা উপ-পরিষদের সভায় কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর মোহাম্মদ নাসিম এ তথ্য জানান।
সভায় অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোহম্মদ নাসিম বলেন, ‘যেহেতু আগামী বছরই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বিষয় রয়েছে, সেখানে আমরা বছর জুড়ে নানা আয়োজনে বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানবো। তাই সম্মেলনে আলাদা করে কোন বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। তবে, দেশেই যারা বিভিন্ন দূতাবাসে রয়েছেন তারা থাকবেন।’
শত প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ আজকের এ অবস্থায় এসেছে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণে সারা বিশ্ব এখন তাকে চেনে। সামনের চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে এবং সংগঠনকে গতিশীল করতেই এবারের সম্মেলন। জনগণই আমাদের শক্তি, জনগণই আমাদের শক্তির উৎস। এ ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন।’
এসময় বিএনপির সমালোচনা করে নাসিম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট দেশের মানুষের ওপর যে তাণ্ডব চালিয়েছে, অপকর্ম করেছে তার ফল এখন তারা ভোগ করছে। পাপের ফল ভোগ করছে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন অভ্যর্থনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের গত সম্মেলনে ৫০ জনেরও বেশি বিদেশি অতিথি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ২০২১ সালে মুজিববর্ষ পালন করবো আমরা। সেখানে অনেক বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। যার কারণে ২১তম জাতীয় সম্মেলনে কোন বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জাননো হবে না।
অভ্যর্থনা উপ-কমিটির সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কার্য-নির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মায়া, কামরুল ইসলাম, রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ।
