শর্তসাপেক্ষে এবং সীমিত আকারে গোলাপি জাতের বেঙ্গালুরু পেঁয়াজ রফতানির সুযোগ দিয়েছে ভারত সরকার। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ সুযোগ চালু থাকবে বলে এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। এক্ষেত্রে শুধু চেন্নাই বন্দর ব্যবহার করে সীমিত পরিমাণে গোলাপি জাতের বেঙ্গালুরু পেঁয়াজ রফতানি করা যাবে বলে সংস্থাটির প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, কিছুদিন
আগে দেশটির পেঁয়াজের বৃহত্তম পাইকারি বাজার লাসালগাঁও এগ্রিকালচার প্রডিউস মার্কেট
কমিটির (এপিএমসি) কয়েকজন প্রতিনিধি সরকারের কাছে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা
প্রত্যাহারের পাশাপাশি মজুদসীমা তুলে দেয়ার আবেদন জানায়। এর কারণ হিসেবে দেশটির
বাজারে পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কথা জানায় তারা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে সীমিত
আকারে বেঙ্গালুরুর গোলাপি পেঁয়াজ রফতানির সুযোগ দিয়ে এ প্রজ্ঞাপন জারি করে
ডিজিএফটি। সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব বিদ্যুৎ বিহারী সাওয়াইন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে
বলা হয়, প্রত্যেক চালানে সর্বোচ্চ নয় হাজার টন করে গোলাপি জাতের বেঙ্গালুরু
পেঁয়াজ রফতানি করা যাবে। এক্ষেত্রে শুধু চেন্নাই বন্দর ব্যবহার করেই পণ্যটি রফতানি
করা যাবে। এ রফতানি প্রক্রিয়া ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, কর্ণাটক রাজ্য সরকারের অধীন হর্টিকালচার কমিশনারের দপ্তর থেকে পণ্য ও পরিমাণের সনদপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এ জাতের পেঁয়াজ রফতানি করা যাবে। বেঙ্গালুরুতে স্থাপিত ডিজিএফটির অতিরিক্ত সচিবের কার্যালয় বিষয়টি পর্যবেক্ষণ এবং চালানের জন্য নিবন্ধন সনদ ইস্যু করবে।
কর্ণাটক সরকারের হর্টিকালচার
কমিশনারের সনদ এবং ডিজিএফটির অতিরিক্ত সচিবের কার্যালয়ের নিবন্ধন সনদ থাকলে
চেন্নাই বন্দর কাস্টমস গোলাপি জাতের বেঙ্গালুরু পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেবে বলে
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ডিজিএফটির
গত ২৯ সেপ্টেম্বর জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা
আরোপ করা হয়। ওই সময়ের পর থেকে বাংলাদেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে শুধু গোলাপি জাতের বেঙ্গালুরু
পেঁয়াজ রফতানির অনুমতিতে খুশি হতে পারেননি সে দেশের রফতানিকারক ব্যবসায়ীরা। এ
বিষয়ে লাসালগাঁও এপিএমসির সাবেক চেয়ারম্যান জয়দূত হোলকার বলেন, শুধু
গোলাপি জাতের বেঙ্গালুরু পেঁয়াজ রফতানিতে অনুমতি দেয়ার বিষয়টি মহারাষ্ট্রের
কৃষকদের জন্য ন্যায্য হয়নি। কেন্দ্রের উচিত ছিল তালিকায় এ রাজ্যের পেঁয়াজও সংযুক্ত
করা। এছাড়া সরকার যেসব শর্তসাপেক্ষে পণ্যটি রফতানির অনুমতি দিচ্ছে সেগুলোও
পরিষ্কার নয়।