সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার এক বছর পূর্তি

ফের দস্যুতায় জড়ালে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বণিক বার্তা প্রতিনিধি বাগেরহাট

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ফের যারা সুন্দরবনে দস্যুতার চেষ্টা করবেন, তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। আর এর নেপথ্যে সেসব গডফাদার রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল দুপুরে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার এক বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে যারা বিপথগামীর পথ থেকে ফিরে আসছেন, তাদের প্রতি আমাদের সুদৃষ্টি রয়েছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এর আগে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে যারা ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের সম্মাননা প্রদান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্তকরণে র্যাবের ভূমিকা ও দস্যুদের আত্মসমর্পণের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্রঅপারেশন সুন্দরবন’-এর ডিজিটাল লোগো ও মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। এ সময় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে র্যাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কুজেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. মো. মাইনুর রহমান চৌধুরী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। এ সময় বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহাদ উদ্দিন হায়দার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাকি তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা বনদস্যুদের যে সহযোগিতা করেছি, তা যদি তারা মামলা-মোকদ্দমার পেছনে খরচ করে, তাহলে তারা অসহায় হয়ে পড়বে। পরবর্তী সময়ে আমরা জানতে পেরেছি, অনেক দস্যুর বিরুদ্ধে বন আইনে কনভিকশন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সবার কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন এসব মামলা কনভিকশন থেকে দস্যুদের মুক্তি দেন। আত্মসমর্পণকারী দস্যুরা যদি এখন জেল খাটে, তাহলে তাদের পরিবার অসহায় হয়ে পড়বে। তাই বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদেরকে আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের দেখে রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন