সীমানার জটিলতা নিরসন না করে ভাসানচরে থানা গঠনের অনুমোদন দেয়ায় মর্মাহত হয়েছেন সন্দ্বীপের বাসিন্দারা। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সন্দ্বীপ নাগরিক সমাজ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এমনটাই জানানো হয়।
সন্দ্বীপ নাগরিক সমাজের সমন্বয়ক
অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সন্দ্বীপ
অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম। তিনি বলেন, সীমানা
নির্ধারণ না করেই সন্দ্বীপের সাবেক ন্যায়মস্তি ইউনিয়ন বর্তমান ভাসান চরকে নতুন
থানা ঘোষণা করায় আমরা সন্দ্বীপবাসী মর্মাহত। প্রশাসনের ভেতর লুকিয়ে থাকা অত্যুৎসাহী
কর্মকর্তারাই এমন দুঃসাহস দেখিয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে।
বিষয়টি সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে সন্দ্বীপ
অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান শিবলী, সাবেক
সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসাইন,
এসএম ইব্রাহীম, লায়ন্স ক্লাব অব চট্টগ্রাম সন্দ্বীপের
সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো.
সলিমুল্লাহ, সন্দ্বীপ এডুকেশন সোসাইটি চট্টগ্রামের
সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম,
সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার চৌধুরী শাহনেওয়াজ
প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, গত
২১ অক্টোবর সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির (নিকা) সভায়
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অধীনে ভাসানচরে পুলিশি থানা গঠনের অনুমোদন দেয়া হয়। তবে
দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের বাসিন্দারা ভাসানচরকে
সন্দ্বীপের অংশ বলে দাবি করে আসছেন।