৬ কোটি ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহজাহান আলীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সকালে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান দুদক খুলনা কার্যালয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৯, তারিখ-৩১-১০-২০১৯।
মামলার বাকি আসামি হলেন ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকার মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সাত্তার সরকার, ঢাকার সেগুনবাগিচার মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আহসান হাবীব, ঢাকার বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী জাহের উদ্দীন সরকার ও দিনাজপুরের ইউনিভার্সাল ট্রেড করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী আসাদুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে Picture
Archiving And Communication System (Pacs)
নামে একটি
সফটওয়্যারসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারের ৬ কোটি ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য প্যাকস নামে একটি সফটওয়্যারসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এরপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সফটওয়্যারসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে ভুয়া বিল-ভাউচার দিয়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারের কাছ থেকে ৬ কোটি ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক
ডা. শাহজাহান আলীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদক প্রধান কার্য়ালয়ের উপপরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহজাহান আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে তার ব্যবহূত সেলফোনে কল দিলে তাও বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি বর্তমানে দুদক তদন্ত করছে। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
