দোয়াতের যত কথা!!

এলিজা বিনতে এলাহী

অসির চেয়ে মসি বড়’—এই প্রবাদের সাথে আমরা কমবেশি সবাই         পরিচিত। কিশোর বয়সে প্রবাদের ব্যাখ্যা লেখেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

মসি অর্থাৎ কলমের সাথে ওতপ্রোতভাবে চলে আসে যে বস্তুটির নাম তা হলো মস্যাধার, কলমের কালি ধারণের পাত্রকে বলা হয় মস্যাধার বা দোয়াত। দোয়াত শব্দটির উত্পত্তি আরবি ভাষা থেকে। বাংলায় মস্যাধার। ইংরেজিতে ইন্কপট।

ঠিক কবে থেকে পৃথিবীতে দোয়াতের ব্যবহার শুরু হয়েছিল তা সঠিকভাবে নিরূপণ করা কষ্ট। দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে খুব সীমিত তথ্যই পাওয়া গেছে দোয়াত সম্পর্কিত। তবে বিভিন্ন কবিতায় রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প উপন্যাসে দোয়াত উপহারের কথা পড়েছি। আধুনিক কবিদের কবিতায়ও বিভিন্ন উপমার ক্ষেত্রে দোয়াতের ব্যবহার দেখা যায় বৈকি।

থমকে যায় কালি

দোয়াত গুঁড়ো হয়

জাতাকলের সংসারে

আর সমাজ? তেমনি ছিল

তেমনি আছে

পিছিয়ে যাচ্ছে

আরও আরও অন্ধকারে’—আমি্ভ্রনি দাস

 

দোয়াত সম্পর্কে জানতে হলে আসলে কলমের আবিষ্কার তথা এর ক্রমবর্ধমান পরিবর্তিত রূপ জানা অতীব জরুরি। মুশকিল হলো কলমের কথা জানার সাথে সাথে এরূপ আগ্রহ তৈরি হয় যে লেখনী এল কী করে, কোথায় কেমন করে লেখনীর যাত্রা হলো। তাহলে বিষয়টি কেমন দাঁড়াল?

হ্যাঁ রকমছোট করে একটু আলাপ করে নিতে হচ্ছে লেখনী, কলম কালির গোড়ার কথা।

প্রাচীন যুগে কাগজ বলতে পাহাড়ের গুহা আর কলম পাথরের ছুঁচালো মুখ। স্মৃতিকে সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন মিসরীয়রা বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহারের মাধ্যমে। চিত্রলিপির বা হায়রোগ্লিফের উদ্ভাবক তারাই। প্রায় ৭৫০টি চিত্রলিপি দিয়ে প্রাচীন মিসরীয় লিপি তৈরি হয়েছিল। লেখার অন্য অনুষঙ্গ তারা পেয়েছিল নিল নদের দুই পাশে প্যাপিরাস গাছ থেকে।

কাগজ হিসেবে কলাপাতার ব্যবহারের কথাও শোনা যায়। কালি তৈরি হতো দৈনন্দিন জীবনের ফল বা ব্যবহার্য জিনিস দিয়ে, যেমনআমলকী, হরীতকী, বহেড়া

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন