স্করসেস-টারান্টিনো সংলাপ

অনুবাদ: সৈকত দে

[মার্টিন স্করসেস কোয়েনটিন টারান্টিনো জাত গল্পবলিয়ে, তাদের সিনেমা, যা কিনা প্রত্যেক পরিচালকের নিখুঁত কাজের স্মারক, তারা মাধ্যমটির প্রতি গভীরে প্রোথিত প্রেমের জন্যও পরিচিত। স্করসেস আর টারান্টিনোর ভক্ত আলাদা প্রজন্মেরস্করসেস হলেন মধ্য ষাটের ফিল্ম স্কুল স্নাতকদের প্রথম তরঙ্গ আর টারান্টিনো নব্বইয়ের শুরুর দিকে ইন্ডি চলচ্চিত্র বিপ্লবের সমান্তরালে ছড়িয়ে পড়াদের একজন। সিনেমার প্রতি ভালোবাসা জ্ঞানে তারা একাসনে বসেছেন। সব ধরনের ফিল্মই তারা নির্মাণ করেছেন, সম্মানজনক স্টুডিও রিলিজ হোক কিংবা বি গ্রেডের রক্ত গরম ফিল্ম, ঢেউ তোলা মিউজিক্যাল অথবা ধ্বংসাত্মক রোমাঞ্চ কাহিনী, আর্ট হাউজ ফিল্ম হোক কিংবা অল্প বাজেটের ওয়েস্টার্ন সিনেমা। সারা জীবন মহাভোজের পথেই তারা চলেছেন, তাদের কাজে, সৃষ্টি করা চরিত্রে এবং যে লেন্সের ভেতর দিয়ে পৃথিবীটাকে দেখেছেন, তার মধ্য দিয়ে এটা দেখা যায়। দুজন পরিচালকের জন্যই বছরটি বিশেষ পর্যবেক্ষণযোগ্য বছর। টারান্টিনোর ওয়ান্স আপন টাইম ইন হলিউড কানে দেখানো হতেই ক্রিটিক আর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে যখন স্করসেসের দি আইরিশম্যানের প্রশংসা আকাশে-বাতাসে। সিনেমার জন্য পরিচালক অনেকটা সময় নিয়েছিলেন, মূল কুশীলবদের বয়স প্রযুক্তির সাহায্যে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিতে (প্রধান তিন চরিত্রের আশি ছুঁই ছুঁই বয়স, তাদের তরুণ বয়স দেখিয়েছেন ডি এজিং ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যেঅনুবাদক) তারা দুজন ডিজিএ কোয়ার্টালির সঙ্গে বসেছিলেননানা বিষয়ের পাশাপাশি পরিচালক, নিজেদের ওপর অন্যের প্রভাব আর ভায়োলেন্সকে বিশোধক হিসেবে ব্যবহারের কথা বলতে। এটি তাদের আলাপের সম্পাদিত সংস্করণ।

স্টিভ চাগোলান]

শেষ কিস্তি

 

স্করসেস: কিন্তু যেকোনো পরিস্থিতিতে সবচেয়ে চমত্কার জিনিস যা আমি সবসময় বলি, এসব যন্ত্রপাতি আর লেন্সের ভেতর দিয়ে কেমন করে ধারণাগুলো আসে আর কেমন করেই বা স্বপ্নেরা আসে। এত অল্প সময়! যখন এসব স্বপ্ন বাস্তব করে তুলতে শুরু করবে, আমরা হয়তো আমাদের অনুভূতির খানিকটা হারিয়ে ফেলব, আমরা কি প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম। এটা খুবই ট্রিকি ব্যাপার, বুঝলে তো?

টারান্টিনো: এটা একটা ইন্টারেস্টিং, দুদিকেই ধারালো তলোয়ার যে কারণে আমাদের উদ্বেগ থাকে; একদিকে আমাদের মাথার ভেতর একটা দারুণ নিখুঁত সিনেমা থাকে কিন্তু আমরা সেটি চাই না। আমরা এর চেয়ে বেশি কিছু চাই, কারণ অভিনেতা হিসেবে যাদের কল্পনা করি, তারা তো নেই।

স্করসেস: ঠিক তাই।

টারান্টিনো: মিউজিক সংযোজনাসহ তোমায় কাটগুলো ধারাবাহিকভাবে বানাতে হবে আর তোমার অডিয়েন্স আহা-উহু করবে। হ্যাঁ, হয়তো এটা করতে পারি, কিন্তু এসবের মধ্যে তো হার্টবিট থাকা চাই।

স্করসেস: এটা ঠিক।

টারান্টিনো: কিন্তু তাও আমি এসব আহা-উহু চাই।

স্করসেস: আরে আমি জানি, জানি। আর সেই তো দুশ্চিন্তা, এটা ভয়ানক দুশ্চিন্তা। আর মানুষজন বলবে, ‘বেশ, তুমি যদি এসব ঘৃণা করো।এটা নয় যে আমি এসব ঘৃণা করি।

টারান্টিনো

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন