বিএসইসির সিসিএএমে ৪৮টি অভিযোগ

গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছে শাহ মোহাম্মদ সগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউলে (সিসিএএম) এখন পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৪৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর বেশির ভাগই প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা ফেরত না পাওয়া সংক্রান্ত। বিষয়ে কমিশনের নির্দেশক্রমে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ডিএসই। পরিদর্শন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানি গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

অবস্থায় গতকাল বিএসইসির ৭০৩তম কমিশন সভায় দুটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথমত, অবিলম্বে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের জন্য শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর রুল (১এ) অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ডিএসইকে নির্দেশ দেবে বিএসইসি। এই ধারায় অভিযুক্ত ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সনদ বাজেয়াপ্ত করে তা বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হলো, এই আত্মসাতের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী মামলা করার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ট্রেডিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গত ১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭০০তম জরুরি কমিশন সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ট (ডিপি) কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।

শাহ মোহাম্মদ সগীরের বিষয়ে বিএসইসি গত ১৭ অক্টোবর ডিএসইর চেয়ারম্যান ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি বরাবর দুটি পৃথক চিঠি পাঠায়। চিঠিতে কমিশন গ্রাহকদের সম্পদ রক্ষায় ডিএসই ডিবিএকে সরাসরি কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানায়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ফল পাওয়া যায়নি। অবশ্য কমিশনের নির্দেশে ডিএসই এরই মধ্যে শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানিতে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, যেখানে প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি উঠে এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন