৯ ফসল আবাদে ভর্তুকি পাবেন ৭ লাখ কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক

নয় ধরনের ফসল আবাদে ৬৮ জেলার লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ, সার (ডিএপি এমওপি) পরিবহন ব্যয় বাবদ নগদ অর্থ প্রদান করা হবে। এসব শস্যের মধ্যে রয়েছে খরিপ- মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ পরবর্তী খরিপ- মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ গ্রীষ্মকালীন তিল। ৮০ কোটি ৭৩ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকার প্রণোদনায় আবাদ বাড়বে লাখ ৮৩ হাজার ৩৯১ হেক্টর।

কৃষিমন্ত্রী . মো. আবদুর রাজ্জাক গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো নয়টি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে পরিবারপ্রতি সর্বোচ্চ এক বিঘা জমির জন্য প্রণোদনা দেয়া হবে। ফলে তেল, ডালজাতীয় ফসলের আমদানিনির্ভরতা কমবে। এছাড়া কিছু পণ্য রফতানি করাও সম্ভব হবে।

জানা গেছে, প্রত্যেক কৃষক এক বিঘা জমিতে গম চাষের জন্য বীজ, ডিএপি এমওপি সারসহ সাকল্যে পাবেন হাজার ৯৯০ টাকা। ভুট্টা চাষের জন্য হাজার ৩১৮, সরিষায় ৮০২, সূর্যমুখী চাষে হাজার ৮১৬, চীনাবাদামে হাজার ৫৭৫, গ্রীষ্মকালীন তিল চাষে ৮০৮, শীতকালীন মুগডালে হাজার ১০ পেঁয়াজ চাষের জন্য হাজার ৭১৪ টাকার উপকরণ সহায়তা পাবেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্যের বিষয়ে সরকার আন্তরিক। একটি স্থায়ী সমাধান কীভাবে করা যায়, তা সবাইকে নিয়ে বের করতে কাজ চলছে। কৃষককে লাভবান করা না গেলে কৃষি উৎপাদন বাড়বে না। যেকোনো ফসল আহরণের সময় ওই-জাতীয় ফসল আমদানি বন্ধ রাখা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কম বিধায় চাল রফতানি করা যাচ্ছে না। তবে আফ্রিকায় রফতানির জন্য কাজ করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন