২ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শফিকুল আলম ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ টাকার স্থাবর সম্পদ হিসেবে অকৃষি সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে আয়কর নথিতে তথ্য দিয়েছেন। অনুসন্ধানে এ সম্পদের পরিমাণ আরো বেশি বলে দুদক মনে করছে। এছাড়া তিনি ওই সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট কোনো উৎস দেখাতে পারেননি। অনুসন্ধানের সময় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিভিন্ন ব্যাংকে শফিকুল আলমের ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ১২০ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া যায়। ওই টাকারও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পায়নি দুদক। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হিসেবে পাওয়া মোট ২ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার ৬৩৯ টাকা শফিকুল আলম অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শফিকুল আলম একসময় ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ওই ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য তিনি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছেন। শফিকুলের স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকার তথ্যও পেয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, দেশে-বিদেশে শফিকুলের বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর তদন্তের সময় সেগুলো আমলে নেয়া হবে।
ক্যাসিনো-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত ২১ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় শফিকুল আলমকে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব।