বজ্রপাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে তালগাছ রোপণ কার্যক্রম। অথচ সিলেট নগরীতে গত সোমবার উল্টো ২২টি তালগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। শুধু তালই নয়, ওইদিন সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাঠানটুলার সড়ক বিভাজকে ফলদ ও ঔষধি মিলিয়ে মোট গাছ কাটা হয়েছে ৪৮টি। আর গাছগুলো কেটেছে খোদ সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
সিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ফুলগাছ রোপণ করতে এ গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে ফুলগাছ লাগানোর জন্য ঔষধি ও ফলদ গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ কর্মীরা।
পাঠানটুলা এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে সড়ক বিভাজক তৈরি করার পরই সেখানে ফল, ফুল ও ঔষধিসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগান ওই এলাকার মৃত নায়েক মো. আব্দুল বাতেন। তাল, রেইনট্রি, নিম, আকন্দ, পেয়ারা, জাম ও বরইসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৫০টি গাছ লাগান তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি গাছগুলোর পরিচর্যা করেছেন। অথচ গত সোমবার হঠাৎই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। স্থানীয়রা এ সময় বাধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
মো. আব্দুল বাতেনের ছেলে মো. আবুল হাসান নেওয়াজ বলেন, আমার বাবা গাছগুলো লাগিয়েছিলেন। এর মধ্যে তালগাছ ছিল ২২টি। তিনি সন্তানের মতো গাছগুলোর যত্ন নিতেন। হঠাৎ করেই সিটি করপোরেশনের লোকজন গাছগুলো কেটে ফেলল। আমরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলেছে, গাছ কাটার জন্য তাদের অনুমতি আছে। আগে জায়গাটা সবুজ ছিল। কিন্তু গাছগুলো কাটার পর স্থানটি কেমন বিরান হয়ে গেছে।
পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা আলীউল বলেন, গত বছরও এই ডিভাইডারের গাছের জাম ও বরই খেয়েছি। এখানে নিমের গাছও ছিল। সবগুলো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
আরেক বাসিন্দা ব্যবসায়ী রাজু হোসেন বলেন, দিনের বেলায় গাছ কেটে রাতে ঠেলা গাড়িতে করে নিয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় এসব গাছ কেটে সেখানে ফুলগাছ রোপণের কোনো যুক্তি নেই।
বর্তমানে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের নগরীর ভেতরের অংশের বিভাজকের সংস্কারকাজ চলছে। এ কাজের ঠিকাদার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা শুধু ডিভাইডারের কাজ করছি। গাছ কে এবং কেন কাটছে আমরা জানি না।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের উপসহকারী প্রকৌশলী ইসমালুর রহমান বলেন, অফিসের নির্দেশেই ওই গাছগুলো কাটা হয়েছে। জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, গাছগুলো অনেক বড় ছিল। এগুলো