ইসরায়েলি ফার্মের বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপের হ্যাকিংয়ের মামলা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইসরায়েলি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ টেকনোলজিসের বিরুদ্ধে মার্কিন ফেডারেল আদালতে মামলা করেছে ফেসবুকের জনপ্রিয় যোগাযোগ অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। হোয়াটসঅ্যাপের অভিযোগ, সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ ২০টি দেশের প্রায় দেড় হাজার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর হ্যান্ডসেটে বেআইনি নজরদারির উদ্দেশ্যে হ্যাক করেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার পাঠিয়েছে। খবর বিজনেস ইনসাইডার ও বিবিসি।

নজরদারিতে ব্যবহার হওয়া সফটওয়্যার তৈরির জন্য ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের জন্যও প্রতিষ্ঠানটি নানা সফটওয়্যার তৈরি করে। অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের ম্যাসেজিং সুবিধা হ্যাক করে এনএসও গ্রুপ ২০টি দেশের ১ হাজার ৪০০ ব্যবহারকারীর হ্যান্ডসেটে ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যারের লিংক পাঠিয়েছে। এ তালিকায় সাংবাদিক থেকে শুরু করে মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী ও কূটনীতিকরা রয়েছেন।

এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, এনএসও গ্রুপ চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলেছে। পরে এসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অন্য ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে নিজেদের তৈরি বিশেষ ধরনের ম্যালওয়্যারের লিংক পাঠিয়েছে। এ লিংকে ক্লিক করার মধ্য দিয়ে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য এনএসও গ্রুপের হাতে চলে গেছে। বিশেষত বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মেক্সিকোসহ কয়েকটি দেশের সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের টার্গেট করে এ কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এটা স্পষ্টত বেআইনি একটি কাজ। এ ঘটনা সামনে আসার পর পরই এনএসও গ্রুপের সঙ্গে সব ধরনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ত্যাগ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানটির সেবা নেয়াও বন্ধ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, নিরাপদ ম্যাসেজিং সুবিধার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের পরিচিতি রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপও গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়। আগামীতেও গ্রাহক নিরাপত্তায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

২০১৪ সাল থেকে এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে এমন বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও এবারই প্রথম কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সরাসরি আইনের আশ্রয় নিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আইনের আওতায় থেকেই তা মোকাবেলার কথা জানিয়েছে এনএসও গ্রুপ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন