সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্ক থেকে এগিয়ে গিয়ে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী ভারত ও সৌদি আরব। সৌদি আরবের বার্ষিক বিনিয়োগ ফোরামে যোগ দিতে দেশটিতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি এ কথা জানিয়েছেন। সফরকালে ভারতের তেল ও গ্যাস প্রকল্পগুলোয় সৌদি বিনিয়োগও চূড়ান্ত করেছেন তিনি। এদিকে, সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার এক বছর বাদে আবার ‘মরুর দাভোস’ হিসেবে পরিচিত এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও ব্যবসায়িক নেতারা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও গার্ডিয়ান।
স্থানীয় দৈনিক আরব নিউজকে দেয়া এক
সাক্ষাত্কারে মোদি বলেন, এবারের সৌদি আরব সফরে আমরা একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব পরিষদে চুক্তি
স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা বিভিন্ন খাতে আমাদের সহযোগিতার নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা
ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক বেশ শক্তিশালী ও গভীর
এবং তা আরো সুদৃঢ় হবে।
রাজধানী রিয়াদে আয়োজিত ফিউচার
ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে ভারতীয় অর্থনীতির আকর্ষণীয়
দিকগুলোয় দৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টা করেন এবং দেশটিতে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের
বিনিয়োগের আহ্বান জানান মোদি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক
স্থিতিশীলতা, নীতিগত স্থিতিশীলতা ও ব্যাপক বিস্তৃত বাজার ভারতে বিনিয়োগে অধিক
লাভজনকতা নিশ্চিত করবে। বিনিয়োগকারীদের সার্বিক সহায়তার ব্যাপারে তিনি ও তার সরকার
প্রস্তুত রয়েছে বলেও আশ্বাস দেন মোদি।
সাক্ষাত্কালে মোদি বলেন, ভারত
নিজেদের অপরিশোধিত তেলের ১৮ শতাংশ আমদানি করে সৌদি আরব থেকে। এতে ভারতের অপরিশোধিত
তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসে দাঁড়িয়েছে উপসাগরীয় দেশটি।
ভারত ও সৌদি আরবের পারস্পরিক
সহযোগিতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে অবকাঠামো। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরের
সময় দেশটির বিভিন্ন খাতে ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেন
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
গত বছর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটে
সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের জেরে বৈশ্বিক সমালোচনার মুখে অনেকেই ‘মরুর
দাভোসে’ অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন।