আইজিসির প্রতিবেদন

প্রতিকূল পরিবেশের প্রভাব পড়বে না গমের বৈশ্বিক উৎপাদনে

বণিক বার্তা ডেস্ক

দক্ষিণ গোলার্ধের বেশির ভাগ দেশে এবার দীর্ঘস্থায়ী খরা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনাবৃষ্টিতে ভুগছে বিশ্বের অন্যতম গম উৎপাদনকারী দেশ অস্ট্রেলিয়া। এত কিছুর পরও চলতি উৎপাদন বর্ষে গমের বৈশ্বিক উৎপাদনে চাঙ্গা ভাব বজায় থাকতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিলের (আইজিসি) সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর কমোডিটি অনলাইন।

আইজিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-২০ উৎপাদন বর্ষে গমের সম্মিলিত বৈশ্বিক উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৭৬ কোটি ২৩ লাখ টনে। আগের বর্ষে কৃষিপণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৭৩ কোটি ৩০ লাখ টন। সে হিসাবে গত বর্ষের তুলনায় এবার খাদ্যপণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদন বাড়তে পারে ২ কোটি ৯৩ লাখ টন।

ভারত ও চীনে আগের বছরের তুলনায় এবার গমের উৎপাদন বাড়বে। এছাড়া কাজাখস্তান ও অস্ট্রেলিয়া বাদে বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশে পণ্যটির উৎপাদনে চাঙ্গা ভাব বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে আইজিসির চলতি মাসের প্রতিবেদনে আগের মাসের তুলনায় গমের বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস কমেছে। মূলত দক্ষিণ গোলার্ধে শুষ্ক আবহাওয়া দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার প্রভাব পড়েছে এখানে। এর মধ্যে আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পণ্যটির সরবরাহ ও রফতানির পূর্বাভাস কমিয়েছে সংস্থাটি। তবে অন্যান্য দেশ থেকে রফতানি বাড়ার জেরে এবার পণ্যটির বৈশ্বিক রফতানি দাঁড়াবে ১৭ কোটি ৩১ লাখ টনে, যা প্রতিষ্ঠানটির সেপ্টেম্বরের পূর্বাভাসের তুলনায় ১২ লাখ টন বেশি।

এদিকে চলতি উৎপাদন বর্ষে গমের বৈশ্বিক ব্যবহার হতে পারে ৭৫ কোটি ৬১ লাখ টন, যা আইজিসির আগের মাসের প্রাক্কলনের তুলনায় ১৪ লাখ টন কম। তবে গত তিন বছরের ধারাবাহিক গম ব্যবহার রেকর্ডের তুলনায় তা ২০ লাখ টন বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন